ত্রিপুরার বাসিন্দা পরিচয়ে চাকরি বাগিয়ে নেয় উত্তরপ্রদেশের দুই যুবক

আগরতলা, ৯ আগস্ট: ত্রিপুরার বাসিন্দা পরিচয়ে চাকরি বাগিয়ে নেয় উত্তরপ্রদেশের দুই যুবক। অফার নিতে কমলপুর আসতেই সালেমা থানার পুলিশের হাতে আটক হয় তারা।

জানা গিয়েছে, স্টাফ সিলেকশন কমিশন ‘র পরীক্ষায় কমলপুরের ঠিকানা দিয়ে উত্তরপ্রদেশের দুই যুবক ও এক যুবতী পরীক্ষায় পাশ করে। কিন্তু কমলপুরের কোন কাগজ না থাকায় তারা উত্তর প্রদেশ থেকে কমলপুরের উদ্যোশ্যে রওয়ানা হয় দুই যুবক। তবে পুলিশের কাছে আগাম খবর থাকায় তারা সালেমা থানার হাতে ধরা পড়ে। তাদেরকে গতকাল কমলপুর থানার হাতে হস্তান্তর করা হয়। ঘটনা হল স্টাফ সিলেকশন কমিশন ‘র পরীক্ষায় টিকতে হলে উত্তরপ্রদেশ কোটায় ভালো শতাংসের নম্বর পেতে হয়। কিন্তু ত্রিপুরার কোটায় পরীক্ষা দিলে শতাংসের নম্বর অনেক কমে সুযোগ পাওয়া যায়। আর এই সুযোগে উত্তর প্রদেশের একটা চক্র ছাত্রছাত্রীদের ত্রিপুরার কমলপুরের ঠিকানায় পরীক্ষায় বসিয়ে সুযোগ পাইয়ে দেয়। যেমন গতবার বি এস এফ ‘র চাকরি বাগিয়ে নিয়েছিল উত্তর প্রদেশের কয়েকজন যুবক ত্রিপুরার কমলপুরের ঠিকানা দিয়ে। কমলপুরের মরাছড়া পোস্ট অফিসে অফার আসলে পড়ে বিষয়টি ধরা পড়ে। তখন নাম পাওয়া যায় আসাম রাইফেলস ‘র এক অবসরপ্রাপ্ত জোয়ান উমেশ চন্দ্রের।

এইবারও ঠিক ঐ ব্যক্তি স্টাফ সিলেকশন কমিশন ‘র পরীক্ষায় উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা দুই যুবক যথাক্রমে রূপেশ কুমার, প্রদীপ কুমার ও এক যুবতী মমতা সিং কে উত্তর প্রদেশেই কমলপুরের সুরমা বিধানসভার মরাছড়া পঞ্চায়েতের লালছড়ি গ্রামের ঠিকানা দিয়ে পরীক্ষায় বসায় তিনজনই পাশ করে। কিন্তু কমলপুরের ঠিকানার কোনো কাগজপত্র না থাকায় তারা মরাছড়া একটি সি এস সি সেন্টারে যোগাযোগ করে তাদেরকে কমলপুর ঠিকানার কাগজ বের করে দেবার আহ্বান জানায়। সি এস সি সেন্টারের মালিক তাদের পুরো ঠিকানা নিয়ে তারা কবে আসছে তা সবকিছু জেনে ঘটনাটি স্থানীয়দের মধ্যে জানিয়ে দেয়। তাদের ছবি সহ সবকিছু সে সংগ্রহ করে।

তারা জানায়, ৮ আগস্ট দুইযুবক ট্রেনে আমবাসায় আসছে। তখন মরাছড়া এলাকার শুভবুদ্ধিসম্পন্ন নাগরিকরা সমস্ত তথ্য কমলপুর থানায় জানিয়ে দেয়। পুলিশ সেইমতো আমবাসা থানা ও রেলওয়ে পুলিশকে দুই যুবকের বেপারে সব তথ্য দিয়ে দেয়। যথারীতি রূপেশ কুমার ও প্রদীপ কুমার আমবাসা রেলস্টেশনে নেমে কমলপুরের পথে রওয়ানা দেয়। তাদের উপর পুলিশের নজর ছিল। সালেমাতে অসামাত্র তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। গতকাল বিকালে তাদেরকে কমলপুর পাঠানো হয়। আজ এই খবর পেয়ে মরাছড়া সহ পার্শবর্তী গ্রাম থেকে কয়েকশো যুবক যুবতী তাদেরকে দেখতে আসে থানায়।