ওয়াশিংটন, ৬ আগস্ট : হুমকি দিয়েছিলেন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভারতের উপর শুল্ক আরো বাড়তে পারে। থেমে না থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাহী আদেশে ভারতের উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেই দিলেন। রাশিয়ার কাছ থেকে তেল আমদানি চালিয়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এই আদেশে বলা হয়েছে, ভারতের দ্বারা সরাসরি কিংবা পরোক্ষভাবে রাশিয়ান ফেডারেশনের তেল আমদানি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা এবং বৈদেশিক নীতির জন্য একটি “অস্বাভাবিক ও ব্যতিক্রমী হুমকি” তৈরি করেছে। তাই জাতীয় জরুরি অবস্থার প্রেক্ষিতে ট্রাম্প এই শুল্ক আরোপের নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, ২১ দিনের মধ্যে কার্যকর হবে এই অতিরিক্ত শুল্ক। তবে, শুধুমাত্র সেই সব পণ্য ছাড় পাবে যা আদেশ কার্যকর হওয়ার আগে জাহাজে উঠেছে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাবে। এই শুল্ক বর্তমান অন্য সকল শুল্ক ও করের অতিরিক্ত হিসেবে আরোপিত হবে। তবে কিছু নির্দিষ্ট পণ্য ও দেশের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম থাকবে।
ট্রাম্পের ভাষ্য অনুযায়ী, ভারত সরাসরি বা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে রাশিয়ান তেল কিনছে। এই তেলের উৎস যদি রাশিয়া হয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতিমালার আওতায় পড়ে, তা হলে তা আমদানির উপর অতিরিক্ত শুল্ক প্রযোজ্য হবে।
এই আদেশে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব ও অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা একযোগে বিশ্লেষণ করবেন কোন কোন দেশ রাশিয়ান তেল আমদানি করছে। তাঁদের সুপারিশের ভিত্তিতে ভবিষ্যতে অন্যান্য দেশের উপরও একই ধরনের শুল্ক আরোপ করা হতে পারে।
আদেশে বলা হয়েছে, কোনো দেশ যদি পাল্টা ব্যবস্থা নেয়, তাহলে ট্রাম্প এই আদেশ পরিবর্তন বা কঠোর করার অধিকার রাখেন। যদি রাশিয়া বা অন্য কোনো দেশ উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেয় যা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিরাপত্তা ও বাণিজ্য নীতিতে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, তাহলেও আদেশ পরিবর্তন করা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, এই সিদ্ধান্তকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও কূটনৈতিক মহলে একটি কঠোর ও সংঘর্ষমূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভারত এই শুল্কের বিরুদ্ধে কেমন প্রতিক্রিয়া জানাবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে এটি দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

