বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে সংখ্যালঘুদের উপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণ সংঘটিত হচ্ছে : কংগ্রেস

ধর্মনগর, ২ আগস্ট: বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে সংখ্যালঘুদের উপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণ সংঘটিত হচ্ছে। দেশের গণতান্ত্রিক রক্ষায় এবং সংবিধানকে সুরক্ষিত রাখতেই প্রদেশ কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেল ঐক্যবদ্ধভাবে রাজ্যের বিভিন্ন শাখা সংগঠন নিয়ে একজোট হয়েছে। আজ দুপুর দুটো নাগাদ ধর্মনগর কংগ্রেস ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন।

এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন, ধর্মনগর জেলা কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দ্বিগ্বিজয় চক্রবর্তী, হীরালাল নাথ, বাসিদ আলীসহ অন্যান্য জেলা ও জেলাস্তরের নেতৃবৃন্দ।

কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বলেন, ভারতীয় সংবিধানের উপর যেভাবে আঘাত নামিয়ে আনা হচ্ছে, তা রোধ করতেই এই সাংগঠনিক সভার আয়োজন। ভারতবর্ষে, বিশেষ করে বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায়, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালি সংখ্যালঘু ও বাঙালি হিন্দু মানুষের উপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।

আরও বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক ধারা রক্ষায় এবং সংবিধানকে সুরক্ষিত রাখতেই প্রদেশ কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেল ঐক্যবদ্ধভাবে রাজ্যের বিভিন্ন শাখা সংগঠন নিয়ে একজোট হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, তীব্র বেকারত্ব, এবং রাজ্যের বিপর্যস্ত স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থা রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার চিত্র স্পষ্ট করে তুলেছে। প্রায় ৫৩ হাজার চাকরি হারিয়ে গেছে, এডিসি এলাকায় বহু বিদ্যালয়ে মাত্র দুজন করে শিক্ষক রয়েছেন, এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষা ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়েছে।

তাঁর কথায়, বিদ্যুৎ বিভাগে স্মার্ট মিটারের নামে রাজ্যের সাধারণ মানুষকে শোষণ করা হচ্ছে। এই স্মার্ট মিটার বসানো যে চক্রান্তের অংশ, তা বন্ধ করতে ত্রিপুরা রাজ্যের প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায় আন্দোলন সংগঠিত করা হবে। কেউ ঘরে স্মার্ট মিটার বসাতে এলে, তা প্রতিরোধ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

এছাড়া, সীমান্তে নিরাপত্তা প্রসঙ্গ টেনে প্রশ্ন তোলা হয়, ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিএসএফ মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও কীভাবে অনুপ্রবেশ সম্ভব হচ্ছে? এই বিষয়েও কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরা হয়।

সমগ্র সাংবাদিক সম্মেলনের মূল বার্তা ছিল—ত্রিপুরা থেকে বিজেপি সরকারকে উৎখাত করতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি বৃহত্তর গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।