ভারত সীমান্তে ভ্রমণ না করতে চীনা নাগরিকদের সতর্কবার্তা চীনা দূতাবাসের, বেড়েছে নজরদারি ও ধরপাকড়

কাঠমান্ডু/নয়াদিল্লি, ৩১ মে: ভারত-নেপাল সীমান্তে বেআইনি প্রবেশের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় চীনা নাগরিকদের জন্য ফের সতর্কবার্তা জারি করল নেপালে অবস্থিত চীনা দূতাবাস। শুক্রবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে দূতাবাস জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ভারত বেআইনি অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবুও কিছু চীনা নাগরিক সীমান্ত অঞ্চলে যাওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছেন, যার ফলে তাদের গ্রেফতার হতে হচ্ছে।

বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নেপাল ও ভারতের নাগরিকরা পরিচয়পত্র দেখিয়ে সীমান্ত পারাপার করতে পারেন, কিন্তু এই নিয়ম বিদেশি নাগরিকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। চীনা দূতাবাস স্পষ্ট জানিয়েছে, কোনো বিদেশি নাগরিক ভিসা ছাড়া নেপাল হয়ে ভারতে প্রবেশ করতে পারেন না বলে জানা গেছে।

দূতাবাস আরও জানিয়েছে, ভারত বেআইনি প্রবেশের ক্ষেত্রে কঠোর শাস্তির বিধান রেখেছে। এমনকি অনিচ্ছাকৃত সীমান্ত অতিক্রমের ক্ষেত্রেও আটক বা মামলা হতে পারে। এর শাস্তি হতে পারে ২ থেকে ৮ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড কিংবা মোটা অঙ্কের জরিমানা — যেখানে জামিনেরও সুযোগ নেই।

এই সতর্কবার্তার পেছনে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিহারের ভারত-নেপাল সীমান্তে দুই চীনা নাগরিককে গ্রেফতারের ঘটনা রয়েছে। ওই দুইজনের বিরুদ্ধে সীমান্তে ভিডিও ও সেলফি তোলার অভিযোগ রয়েছে এবং তাদের কাছে বৈধ ট্র্যাভেল ডকুমেন্টও ছিল না বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এর আগে এই মাসের শুরুতেও বিহারের রক্সৌল সীমান্ত দিয়ে চার চীনা নাগরিক ভারতের ভূখণ্ডে প্রবেশের চেষ্টা করলে তাদের আটক করা হয়। তারাও বৈধ নথিপত্র ছাড়াই সীমান্ত অতিক্রম করতে চাইছিলেন।

এদিকে, ভারত ও নেপাল যৌথভাবে সীমান্ত এলাকায় সম্প্রতি কম্বিং অপারেশন ও টহল শুরু করেছে। সূত্রের খবর, পাকিস্তান থেকে আগত সন্দেহভাজন জঙ্গিদের উপস্থিতির তথ্য পাওয়ার পরই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পাহেলগামে পাকিস্তান-সমর্থিত জঙ্গিদের হামলায় ২৬ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর ৭ মে ভারত ‘অপারেশন সিন্ধুর’ নামে পাল্টা অভিযানে পাকিস্তান ও পিওকে-তে মোট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে আঘাত হানে।