বিলোনিয়া, ২৮ মে: দেশব্যাপী মাওবাদ বিরোধী অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেল ভারতীয় সেনাবাহিনী। সম্প্রতি একসঙ্গে ২৭ জন মাওবাদীকে নিকেশ করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে কুখ্যাত মাওবাদী নেতা আম্বালা কেশব। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যজুড়ে জনগণকে সচেতন করতে মঙ্গলবার একযোগে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে বিজেপি প্রদেশ কমিটি।
বিলোনিয়ায় দক্ষিণ জেলা বিজেপি কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি প্রদেশ কমিটির সদস্য ও প্রাক্তন বিধায়ক মফস্বর আলী, বিজেপি প্রদেশ মিডিয়া ইনচার্জ সুনিত সরকার, দক্ষিণ জেলা সভাপতি দ্বীপায়ন চৌধুরী এবং জেলা মিডিয়া ইনচার্জ গৌতম দত্তগুপ্ত।
সাংবাদিক সম্মেলনে মফস্বর আলী বলেন, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে ঘোষণা করেছেন, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদ নির্মূল করার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। এই লক্ষ্য পূরণেই ধারাবাহিকভাবে চলছে সেনা অভিযান।
তিনি বলেন, ‘‘সরকার মাওবাদীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত, তবে তার শর্ত—অস্ত্র সংবরণ ও আত্মসমর্পণ।’’ তিনি আরও জানান, এক সময় প্রায় ২০০টি জেলায় মাওবাদী কার্যকলাপ ছিল, বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ২৫টিতে।
তিনি দাবি করেন, দেশের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে মাওবাদী কার্যকলাপ ৭৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় ছিল মাত্র ৪৭ শতাংশ। বর্তমানে মাওবাদীরা সরাসরি সেনাবাহিনীকে নিশানা করছে, যার ফলে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং উন্নয়নপ্রকল্প ব্যাহত হচ্ছে।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি নেতারা জানান, মাওবাদীদের সাথে সিপিআইএম-এর মতাদর্শগত পার্থক্য থাকলেও, কার্যত উভয়ই দেশের শত্রু। কারণ, একদল অস্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করতে চায়, অপর দল রাজনৈতিকভাবে বিভ্রান্তি তৈরি করতে চায়।
তারা জানান, একসময় ত্রিপুরাতেও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশ সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অবস্থানে অটল এবং ২০৪৭ সালের মধ্যে একটি বিকশিত ভারত গড়ে তোলার লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে মাওবাদী কার্যকলাপের প্রকৃতি, সরকারের প্রতিক্রিয়া এবং তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপগুলি নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। বিজেপি নেতারা জনগণকে বিভ্রান্ত না হয়ে সরকারের প্রতি আস্থা রাখার আহ্বান জানান।

