নয়াদিল্লি / ইম্ফল, ২৭ মে: শিরুই লিলি উৎসব সংক্রান্ত তার সাম্প্রতিক মন্তব্য ঘিরে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তির জবাব দিলেন কুকি স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন দিল্লি ও এনসিআরের সভাপতি পাওজাখুপ গুইটে। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তার বক্তব্য উৎসবের বিরুদ্ধে নয়, বরং মণিপুরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের গুরুত্ব তুলে ধরার উদ্দেশ্যেই ছিল।
গুইটে বলেন, “আমার বক্তব্য ছিল একটি সতর্কবার্তা—যাতে উত্তেজনা না বাড়ে এবং কোনও প্রাণহানির ঘটনা না ঘটে। দুর্ভাগ্যবশত, আমার কথা ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এটি উসকানিমূলক নয়, বরং জননিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ থেকেই বলা হয়েছিল।”
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, চলমান উত্তেজনার মধ্যে কিছু গোষ্ঠী উৎসবকে ব্যবহার করে নির্ধারিত ‘বাফার জোন’ অতিক্রম করার চেষ্টা করতে পারে। এই বাফার জোনগুলি সংঘাতপ্রবণ এলাকাগুলিকে পৃথক রাখতে এবং শান্তি বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে তিনি মনে করেন।
গুইটে বলেন, “সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির অনিয়ন্ত্রিত চলাচল বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। এই হুমকিগুলি উপেক্ষা করা মানে স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে বিপদের মুখে ফেলা।”
তিনি আশ্বস্ত করেন, কুকি সিভিল সোসাইটি সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে শিরুই লিলি উৎসবের বিরুদ্ধে কোনও সংগঠিত বিরোধিতা নেই। তবে জনসমাবেশ ও উৎসব আয়োজনের ক্ষেত্রে সকল পক্ষকে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানান তিনি।
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের কথাও উল্লেখ করেন গুইটে, যেখানে মণিপুরে আইন-শৃঙ্খলার ভাঙনের কথা বলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের প্রতি জনআস্থার অবক্ষয় ঘটেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
গুইটে আরও বলেন, তার কোনো গ্রামভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক দল বা মিলিশিয়ার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। বরং তিনি সবসময় শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ এবং সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের পক্ষে। “আমি কখনোই সহিংসতা সমর্থন করিনি, আমার বক্তব্য অস্ত্রধারণের আহ্বান ছিল না। বরং এটি ছিল ভারসাম্য বজায় রেখে শান্তি স্থাপনের একটি সতর্ক অনুরোধ।”
শেষে তিনি বলেন, “আমি এই মহান দেশের একজন শান্তিপ্রিয় নাগরিক হিসেবে একতার পক্ষে ও সকলের জীবনের সুরক্ষার পক্ষে দাঁড়িয়েছি। বাফার জোন বিভাজনের প্রতীক নয়, বরং উত্তেজনা কমানোর ও জনগণের সুরক্ষার একটি প্রয়োজনীয় উপায়।”
2025-05-27

