কমিউনিস্টরা রাষ্ট্রদ্রোহী এবং দেশবিরোধী, তাদের বক্তব্যে ফ্যাসিস্টসুলভ মনোভাবের প্রকাশ মেলে: সাংসদ রাজীব

আগরতলা, ২৬ মে : কমিউনিস্ট্ররা রাষ্ট্রদ্রোহী এবং দেশবিরোধী। তাদের বক্তব্যে ফ্যাসিস্টসুলভ মনোভাবের প্রকাশ মেলে। আজ সাংবাদিক সম্মেলনে এমনভাবেই কমিউনিস্টদের কটাক্ষ করলেন সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য। উল্লেখ্য, ২৭ জন মাওবাদীর এনকাউন্টারের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে কমিউনিস্টরা। তাদের সঙ্গে আলোচনা না করায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবং ছত্তিশগড়ের সরকারকেও দোষারোপ করা হয়েছে। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) এর বিবৃতির পাশাপাশি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। কমিউনিস্টদের এহেন আচরণকে রাষ্ট্রদ্রোহিতা বলে অভিহিত করেছেন সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য।

প্রসঙ্গত, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) এর পলিটব্যুরো তরফে বিবৃতি জারি করা হয়েছিল। তাতে লেখা হয়েছিল ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) ছত্তিশগড়ে তাদের সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশভারও সহ ২৭ জন মাওবাদীর এনকাউন্টারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। একইভাবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। সিপিএমের অভিযোগ, মাওবাদীরা আলোচনার জন্য বারবার আবেদন করেছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপি-নেতৃত্বাধীন ছত্তিশগড় রাজ্য সরকার আলোচনার মাধ্যমে সমাধান না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরিবর্তে, তারা হত্যা ও ধ্বংসের অমানবিক নীতি অনুসরণ করছে।
আরও বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দেওয়া বিবৃতি এবং ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য যে আলোচনার প্রয়োজন নেই তা একটি ফ্যাসিবাদী মানসিকতাকে প্রতিফলিত করে যা মানুষের জীবন কেড়ে নেওয়ার আনন্দ উদযাপন করে এবং গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে।

অনেক রাজনৈতিক দল এবং সচেতন নাগরিক সংলাপের অনুরোধ বিবেচনা করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। মাওবাদীদের রাজনীতির বিরুদ্ধে আমাদের বিরোধিতা সত্ত্বেও, আমরা সরকারকে অবিলম্বে তাদের আলোচনার অনুরোধ গ্রহণ করার এবং সমস্ত আধাসামরিক অভিযান বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।

ছত্তিসগড়ে মাওবাদী শীর্ষ নেতা কেশবরাও ওরফে বাসবরাজ সহ অন্য মাওবাদীদের নিহতের ঘটনায় সিপিআইএমের পলিটব্যুরোর বিবৃতি ইস্যুতে তীব্র নিন্দা জানিয়ে এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন রাজীব ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, মানিক বাবুরা দেশের খবর রাখেন না। ১৯৯৭ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ১১৫০০ জন এই মাওবাদীদের দ্বারা নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে, বিএসএফ, সিআরপিএফ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সাধারণ জনগণও রয়েছেন। গত একমাস আগেও গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ নকশাল প্রভাবিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছেন। তিনি আহবান করেছিলেন তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে। সরকার তাদের সাহায্য করবেন। কিন্তু তারা কথা শুনে নি। তারা একের পর এক নাশকতার ছক কষে নিরীহ প্রাণ শেষ করতে চেয়েছে। তাদের পক্ষপাতিত্ব করায় কমিউনিস্টদের তীব্র নিন্দা করেছেন এদিন সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য।