আজ বিশ্ব থাইরয়েড দিবস

নয়াদিল্লি, ২৫ মে : আজ সারা বিশ্বে বিশ্ব থাইরয়েড দিবস পালিত হচ্ছে। থাইরয়েড বিকৃতি সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানো এবং প্রাথমিক পর্যায়েই এর সঠিক নির্ণয় ও ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব তুলে ধরার উদ্দেশ্যে এই দিবসটি পালন করা হয়।

এই দিবসটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, থাইরয়েড সম্পর্কিত কোনও সন্দেহজনক উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

থাইরয়েড হলো একটি ছোট প্রজাপতির মতো আকারের গ্রন্থি, যা আমাদের গলায় অবস্থিত। আকারে ছোট হলেও এর কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এই গ্রন্থি এমন কিছু হরমোন তৈরি করে, যা শরীরের বিপাকক্রিয়া (মেটাবলিজম), হৃদস্পন্দন, শরীরের তাপমাত্রা, শক্তি স্তর, ঋতুস্রাব স্বাস্থ্য এবং মানসিক সুস্থতাসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমকে প্রভাবিত করে।

থাইরয়েড বিকৃতির সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া, গলায় ফোলা বা গাঁট, ঠান্ডা বা গরমের প্রতি অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা, আচরণে হঠাৎ পরিবর্তন, উদ্বেগ, বিষণ্ণতা, অনিয়মিত ঋতুচক্র, চুল পাতলা হয়ে যাওয়া বা পড়ে যাওয়া এবং ক্রমাগত ক্লান্তি।

সক্রিয় এবং সুস্থ জীবনযাপন থাইরয়েড সমস্যার ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস করতে পারে। আয়োডিনযুক্ত লবণ, দুগ্ধজাত পণ্য এবং সামুদ্রিক খাবারের নিয়মিত সেবন থাইরয়েড হরমোনের স্বাভাবিক নিঃসরণের জন্য প্রয়োজনীয়।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং হাঁটাহাঁটি, যোগব্যায়াম ও সাঁতারের মতো শারীরিক কার্যকলাপ বিপাকক্রিয়া (মেটাবলিজম) বাড়াতে সহায়তা করে।