ইম্ফল, ২৫ মে: ‘মণিপুর’ শব্দটি এমএসটি বাস থেকে মুছে ফেলার প্রতিবাদে রবিবার ইম্ফল শহরে কয়েক শতাধিক মানুষ জমায়েত হন। রাজভবনের দিকে পদযাত্রা শুরু করলে জনস্টোন স্কুলের নিকট উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল কোঅর্ডিনেটিং কমিটি অন মণিপুর ইন্টেগ্রিটি।
প্রতিবাদকারীরা অভিযোগ করেন, রাষ্ট্রপতি শাসনের অজুহাতে রাজ্যের নাম ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে প্রশাসন। হাতে ব্যানার, মুখে স্লোগান— উত্তেজিত জনতা মণিপুরের আত্মপরিচয় রক্ষার দাবিতে সরব হন।
কাংলার পশ্চিম গেটের কাছে আন্দোলনকারীদের আটকে দেয় নিরাপত্তা বাহিনী। ধাক্কাধাক্কির মাঝেই নিরাপত্তা বাহিনী একাধিক রাউন্ড স্মোক বম্ব ছোঁড়ে, তবে বহু মানুষ তবু এলাকায় অবস্থান চালিয়ে যান।
ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে কো-কোমি-র দেওয়া ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটামের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর। তাঁরা রাজ্যপালকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। সাড়া না মেলায় শুরু হয়েছে সর্বাত্মক গণআন্দোলনের ‘চূড়ান্ত পর্যায়’।
২৪ মে তারিখে প্রকাশিত এক প্রেস বিবৃতিতে কো-কোমি জানিয়েছে, এই আন্দোলন শুধুমাত্র প্রতিবাদে সীমাবদ্ধ থাকবে না। থাকবে সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ, নাগরিক অবাধ্যতা, এবং রাজ্যজুড়ে জনমত গঠন।
কো-কোমি-র প্রধান দাবিগুলি: মুখ্যসচিব, ডিজিপি ও সিকিউরিটি অ্যাডভাইজারের অবিলম্বে পদত্যাগ, রাজ্যজুড়ে ধর্ণা, মশাল মিছিল ও অবস্থান বিক্ষোভ, রাজ্যপালের সম্পূর্ণ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বয়কট, পিআর নিযুক্ত আধিকারিকদের সঙ্গে অসহযোগ, রাজভবন, বিধানসভা ভবন ও জেলার সদর দপ্তরে বিক্ষোভ।
কো-কোমি জানিয়েছে, “এই আন্দোলন শান্তির বিরুদ্ধে নয়, বরং মণিপুরের আত্মপরিচয় রক্ষার সংগ্রাম।” প্রেস নোটে বলা হয়েছে, “আমাদের পরিচয়কে মুছে ফেলা, প্রশাসনকে ‘নার্কো-সন্ত্রাস’-এর হাতে তুলে দেওয়ার বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়াব। ‘মণিপুর’ শুধু একটি নাম নয়, আমাদের আত্মা, আমাদের উত্তরাধিকার।”

