নয়াদিল্লি, ২২ মে : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২৩ মে নতুন দিল্লির ভারত মন্ডপমে রাইজিং নর্থ ইস্ট ইনভেসটর্স সামিটের উদ্বোধন করবেন। উত্তর – পূর্বাঞ্চলকে সম্ভাবনার এক অঞ্চল বলে তুলে ধরা, দেশ বিদেশের বিনিয়োগকারীদের এই অঞ্চল সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করা এবং বিনিয়োগকারী ও নীতি প্রণয়নকারীদের একটি অভিন্ন মঞ্চে মত বিনিময়ের সুযোগ তৈরি করাই শীর্ষ সম্মেলনের মূল লক্ষ্য। ওই সম্মেলনে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীও উপস্থিত থাকবেন।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য দু’দিনের এই শীর্ষ সম্মেলনে বেশ কিছু পথ সভা করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে, উত্তর – পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যের সহযোগিতায় রাষ্ট্রদূত এবং বণিক সংগঠনগুলির মধ্যে কয়েকটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও এই শীর্ষ সম্মেলনে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক, ব্যবসায়িক সংগঠনগুলি ও সরকারের মধ্যে আলাপ আলোচনা এবং বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংগঠনের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে কি কি নীতি গ্রহণ করা হয়েছে এবং ওই রাজ্যগুলির নতুন নতুন স্টার্টআপ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্যও এই সম্মেলনে তুলে ধরা হবে।
শীর্ষ সম্মেলনে পর্যটন, আতিথেয়তা, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও অনুসারী শিল্প বস্ত্র, হস্তশিল্প, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, দক্ষতা বিকাশ, তথ্য প্রযুক্তি, পরিকাঠামো, পণ্য পরিবহন, বিদ্যুৎ, বিনোদন এবং খেলাধূলা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য বিনিয়োগকারীদের কাছে উপস্থাপিত করা হবে।
এদিকে, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ সফরে রাজধানী দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন। সেখানে তিনি আগামীকাল উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়ন ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন।
মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহা আগামীকাল, ২৩ মে সকাল ১০:৩০ টায় নয়াদিল্লির ভারত মণ্ডপম-এ অনুষ্ঠিত হতে চলা ‘রাইজিং নর্থ ইস্ট ইনভেস্টরস সামিট’-এ অংশ নেবেন। দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলন ২৩ ও ২৪ মে অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হলো উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা উন্মোচন ও তা আকর্ষণ করা।
কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির সক্রিয় সহযোগিতায় আয়োজিত এই সম্মেলন পূর্ববর্তী বেশ কয়েকটি কর্মসূচির চূড়ান্ত রূপ— যার মধ্যে রয়েছে রোডশো, রাজ্যভিত্তিক রাউন্ডটেবিল, রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক এবং দ্বিপাক্ষিক চেম্বারগুলোর সঙ্গে মতবিনিময়।
সম্মেলনের পরে ২৪ মে মুখ্যমন্ত্রী নীতি আয়োগের গভর্নিং কাউন্সিল মিটিং-এ অংশগ্রহণ করবেন। ওই বৈঠকে রাজ্যগুলোর উন্নয়ন রূপরেখা ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। ওইদিন সন্ধ্যেতেই মুখ্যমন্ত্রীর ত্রিপুরা ফিরে আসার কথা রয়েছে।
ত্রিপুরাকে উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়ন মানচিত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে তুলে ধরতে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রীর এই দিল্লি সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

