বিলোনিয়ার সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনে বিরোধী দলনেতা, কথা বললেন বিএসএফ আধিকারিকের সঙ্গেও

নিজস্ব প্রতিনিধি, বিলোনিয়া, ২১ মে:
বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী বুধবার বিলোনিয়ার বল্লামুখ এলাকায় সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশে বাঁধ নির্মাণের ফলে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বিলোনিয়ার বল্লামুখায় কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশ সরকার বাঁধ নির্মাণ করার ফলে জটিল সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন সীমান্ত এলাকার ভারতীয় নাগরিকরা। নির্মিত বাঁধের কারণে সামান্য বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে যায় বিলোনিয়া বল্লামুখা অঞ্চল। সীমান্তের আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে এই বাঁধ তৈরি হয়েছে বলে স্থানীয় জনগণের দাবি।

আজ সকালে বিরোধী দলনেতা তথা সিপিআই(এম) পলিটব্যুরোর সদস্য জীতেন্দ্র চৌধুরী এই বাঁধ পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয়দের অভিযোগের কথা শুনেন। সীমান্ত এলাকায় পরিদর্শনকালে বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনেই বাংলাদেশ সরকার এই বাঁধ নির্মাণ করে ফেলেছে। অথচ আমাদের দেশের সরকারের তরফ থেকে এব্যাপারে তাদেরকে বাধা দেওয়া হয়নি। এজন্য রাজ্য সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসনকে পুরো ভাগে দায়ী করেছেন বিরোধী দলনেতা।

তিনি বলেন, সরকার ও প্রশাসনের তরফে বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের নজরে এনে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা বললে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারত না। আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে দেড়শ মিটার দূরে নির্মাণ কাজ করার নিয়ম রয়েছে। ভারত সরকার যখন ত্রিপুরার আন্তর্জাতিক সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছিল তখনও এই নিয়ম মেনেই কাজ করতে হয়েছে। অথচ বাংলাদেশে যখন অবৈধভাবে বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হয় তখন সীমান্তরক্ষী বাহিনী কিংবা স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারের তরফ থেকে তাদেরকে কোন ধরনের বাধা দেওয়া হয়নি। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই বাংলাদেশে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে।

এই বাঁধ নির্মাণের ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় জল জমে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। জল জমে থাকার ফলে কৃষকরা তাদের কৃষি জমিতে ফসল করতে পারবেন না। এর ফলে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার সৃষ্টি হবে। এটি কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না। বিরোধী দলনেতা এলাকা সফরকালে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি স্থানীয় বিএসএফের আউটপোষ্টে গিয়ে কোম্পানি কমান্ডারের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি এ বিষয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে এবং রাজ্য সরকারের সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।