প্রখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ডঃ জয়ন্ত নার্লিকার-এর প্রয়াণে শোকের ছায়া, প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য নেতাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি

পুণে, ২০ মে: বিশিষ্ট জ্যোতির্বিজ্ঞানী ডঃ জয়ন্ত নার্লিকার আজ সকালে পুণেতে ৮৬ বছর বয়সে পরলোকগমন করেছেন। তাঁর প্রয়াণে ভারতীয় বিজ্ঞান জগতে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি সামাজিক মাধ্যম পোস্টে ডঃ নার্লিকার-এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, “জয়ন্ত নার্লিকার শুধুমাত্র একজন বিজ্ঞানি ছিলেন না, তিনি জ্যোতির্বিদ্যার ক্ষেত্রে একটি আলোকবর্তিকা ছিলেন। তাঁর অগ্রগামী গবেষণা এবং মৌলিক তাত্ত্বিক অবদান ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য চিরকাল প্রাসঙ্গিক থাকবে।”

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ডঃ নার্লিকার-এর প্রয়াণে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “ভারত আজ এক মহান জ্যোতির্বিজ্ঞানীকে হারাল। তিনি ভারতের বৈজ্ঞানিক পরিচয়কে গৌরবান্বিত করেছেন এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানকে সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছেন।”

উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ার বলেন, “ডঃ নার্লিকার আমৃত্যু পরিশ্রম করেছেন, যাতে নতুন প্রজন্মের মধ্যে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি, যুক্তিবাদ এবং বিজ্ঞানমনস্কতা গড়ে ওঠে।”

উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেও তাঁর কাজের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “ডঃ নার্লিকারের অবদান জাতির পক্ষে অত্যন্ত মূল্যবান। তাঁর কাজ ভারতের বৈজ্ঞানিক অগ্রযাত্রায় মাইলফলক হয়ে থাকবে।”

এনসিপি নেতা শরদ পওয়ারও ডঃ জয়ন্ত নার্লিকার-এর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, “তিনি ছিলেন আমাদের সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জ্যোতির্বিজ্ঞানী। তাঁর স্মৃতি ও অবদান বিজ্ঞানী সমাজে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।”

ডঃ জয়ন্ত নার্লিকার কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রেড হোয়েলের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে “হোয়েল-নার্লিকার তত্ত্ব” প্রবর্তন করেন, যা মহাবিশ্বের সৃষ্টিতত্ত্বের বিকল্প ব্যাখ্যা প্রদান করে। তিনি বিজ্ঞান শিক্ষা ও জনপ্রিয়ীকরণের ক্ষেত্রেও ছিলেন এক অগ্রদূত। তাঁর মৃত্যুতে ভারতীয় বিজ্ঞানজগতে এক অপূরণীয় শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে।