কলকাতা, ১৯ মে: পাহেলগাম জঙ্গি হামলা এবং “অপারেশন সিন্দূর”-এর পর পাকিস্তানঘেঁষা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জনমত গঠনে কেন্দ্রের উদ্যোগে তৈরি সাতটি বহুদলীয় প্রতিনিধিদলে ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ হওয়া তৃণমূল সাংসদ ইউসুফ পাঠানকে অন্তর্ভুক্ত করায় প্রবল আপত্তি জানাল তৃণমূল কংগ্রেস। দল সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ইউসুফ পাঠান বা তৃণমূলের কোনো সাংসদই ওই বিদেশ সফরকারী প্রতিনিধিদলের অংশ হবেন না।
সোমবার কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,
“কীভাবে কেন্দ্রীয় সরকার তৃণমূলের প্রতিনিধি বেছে নিতে পারে? এই বিষয়ে বিরোধী দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল। বিজেপি আমাদের হয়ে প্রতিনিধি ঠিক করতে পারে না।”
তাঁর আরও সংযোজন,”তৃণমূল কোনোভাবেই জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়কে রাজনীতিকরণ করছে না। বরং, আমরাই একমাত্র দল যারা এই বিষয়টিকে সম্পূর্ণভাবে রাজনীতির ঊর্ধ্বে রেখেছে।”
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববারই কেন্দ্রকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনো সাংসদই এই বহুদলীয় আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি দলে অংশ নেবেন না।
একজন সিনিয়র তৃণমূল সাংসদ বলেন,”আমরা বিশ্বাস করি জাতি সবার ঊর্ধ্বে। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী আমাদের গর্ব। বিদেশনীতি কেন্দ্রীয় সরকারের এক্তিয়ারে পড়ে — ওটা ওদেরই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, সেই দায়িত্বও কেন্দ্রই নিক।”
তৃণমূলের দাবি, তারা কেন্দ্রকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে এবং ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে সেনাবাহিনীর সাহস ও সাফল্য উদ্যাপন করে সভা-সমাবেশ করছে।
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে সদ্য নির্বাচিত তৃণমূল সাংসদ ইউসুফ পাঠান ছিলেন এই আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদলে দলের একমাত্র সদস্য।
তৃণমূলের এই অবস্থান স্পষ্ট করে দিল যে, তারা দেশের স্বার্থে সরকারের পাশে থাকলেও রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বে দলীয় স্বায়ত্তশাসনে কোনো রকম হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করবে না।

