“আমি পাকিস্তানের দুলাভাই” – ট্রোলিংয়ের জবাবে আসাদুদ্দিন ওবাইসি ঠাট্টা, বিদেশ সফরের আগে বললেন, “ভারতের পক্ষেই দাঁড়াবো”

নয়াদিল্লি, ১৮ মে: হায়দরাবাদের সাংসদ ও এআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওবাইসি আবারও সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছেন। পহেলগাঁওয়ে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসবাদী হামলার পর পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করার ফলে তিনি পাকিস্তানি সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলগুলোর নিশানায় পড়েছেন। তবে এই ট্রোলিং নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি হাসতে হাসতে বলেন, “আমি তো পাকিস্তানের দুলাভাই (জামাই) হয়ে গেছি।”

ওবাইসি বলেন, “ওরা কাউকে এত সুন্দর, এত স্পষ্টভাষী সহ্য করতে পারে না। ওরা পুরো ভারত থেকে শুধু আমাকে দেখে। আমাকে দেখো, আমাকে শোনো — তোমাদের জ্ঞানের ঘাটতি দূর হবে, মাথার ঘাস পরিষ্কার হবে।”

উল্লেখযোগ্যভাবে, ভারত সরকার ওনাকে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরতে গঠিত সাতটি প্রতিনিধি দলের মধ্যে একজন হিসেবে মনোনীত করেছে। এই সফরের লক্ষ্য হল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্বে কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা।

প্রসঙ্গত, এআইএমআইএম-এর একমাত্র সাংসদ হওয়ায় শুরুতে ওনাকে সর্বদলীয় বৈঠকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। সরকারের বক্তব্য ছিল, অন্তত পাঁচজন সাংসদবিশিষ্ট দলগুলিই বৈঠকে অংশ নিতে পারবে। কিন্তু ওवैসির আপত্তির পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজে তাঁকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানান। এরপর থেকেই সরকারের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কর্মকাণ্ডে ওনাকে যুক্ত করা হয়েছে।

ওবাইসি স্পষ্ট করেছেন যে তিনি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সরকারের সমালোচনা চালিয়ে যাবেন, কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে দেশ ও দেশের পক্ষে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াবেন। তিনি পহেলগাঁও হামলার পর মসজিদে কালো ব্যান্ড পরে জুমার নামাজ আদায় করেন এবং পাকিস্তানি নেতাদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন।

পাকিস্তান বিরোধী বক্তব্য ও “পাকিস্তান মুর্দাবাদ, হিন্দুস্তান জিন্দাবাদ” স্লোগানে তাঁর ভিডিও ভাইরাল হতেই, এমনকি সমালোচকরাও ওনাকে বাহবা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, “এটা কোনও দলের বিষয় নয়, এটা ভারতের পক্ষ থেকে কথা বলার দায়িত্ব। আমি এই দায়িত্ব যথাসাধ্য পালন করবো।”

ওনাকে কেন্দ্র করে যে আলোচনা, সমালোচনা ও প্রশংসা চলেছে তা স্পষ্ট করে দেয়, আসাদুদ্দিন ওবাইসি এখন কেবল রাজনৈতিক নেতা নন, জাতীয় স্তরে গুরুত্বপূর্ণ কণ্ঠস্বর হিসেবে উঠে এসেছেন, বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদ ও আন্তর্জাতিক কূটনীতি সংক্রান্ত ইস্যুতে।