সন্ত্রাসবাদ বিরোধী বার্তা নিয়ে বিশ্ব সফরে যাচ্ছে ভারতের সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল, নেতৃত্বে শশী থারুর

নয়াদিল্লি, ১৭ মে: ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী বার্তা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে বিভিন্ন দেশে। এই কূটনৈতিক প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেবেন কংগ্রেস সাংসদ এবং প্রাক্তন কূটনীতিক শশী থারুর।
কেন্দ্রীয় সংসদীয় কার্যমন্ত্রী কিরেন রিজিজু শনিবার এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ লিখেছেন, “যখন মুহূর্তটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, ভারত তখন ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ায়।” তিনি জানান, সাতটি প্রতিনিধিদল শীঘ্রই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশসহ গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক অংশীদার দেশগুলো সফর করবে।
প্রধান উদ্দেশ্য—সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জিরো টলারেন্স নীতি এবং জাতীয় ঐক্যের বার্তা আন্তর্জাতিক মহলের সামনে উপস্থাপন করা।শশী থারুর এক্স-এ লিখেছেন, “জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে যদি আমার প্রয়োজন হয়, আমি সব সময় পাশে থাকব। সরকারের এই দায়িত্ব পেয়ে আমি সম্মানিত বোধ করছি।”
প্রতিনিধিদলে অন্তর্ভুক্ত নেতারা হলেন: শশী থারুর (কংগ্রেস), কনিমোঝি করুণানিধি (ডিএমকে), সুপ্রিয়া সুলে (এনসিপি – শরদ পওয়ার গোষ্ঠী), রবিশঙ্কর প্রসাদ (বিজেপি), বৈজয়ন্ত পাণ্ডা (বিজেপি), সঞ্জয় কুমার ঝা (জেডিইউ), শ্রীকান্ত শিন্ডে (শিবসেনা – এনডিএ)।
প্রতিনিধিদলে আরও যারা থাকতে পারেন: নিশিকান্ত দুবে, বানসুরি স্বরাজ, অনুরাগ ঠাকুর, এমজে আকবর, সামিক ভট্টাচার্য, পুরানদেশ্বরী, এসএস আহলুওয়ালিয়া (বিজেপি), আসাদুদ্দিন ওয়াইসি (AIMIM), সলমন খুরশিদ, মনীশ তেওয়ারি (কংগ্রেস), গুলাম নবী আজাদ (ডিপিএপি), প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী (শিবসেনা UBT), সস্মিত পাত্র (বিজু জনতা দল), বিক্রমজিৎ সাওনেহি (আপ), জন ব্রিটাস (সিপিআইএম), কৃষ্ণ দেবরায়ালু লাভু ও গন্তি হরিশ মধুর (টিডিপি)।

এই প্রতিনিধিদলগুলি ২৩ মে থেকে ১০ দিনের জন্য বিভিন্ন দেশ সফরে যাবে।
২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাম-এ সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত ৭ মে পাকিস্তান এবং পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের (PoK) নয়টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে আক্রমণ চালায়। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী লস্কর-ই-তৈয়বা, জইশ-ই-মোহাম্মদ ও হিজবুল মুজাহিদিন-এর বহু ঘাঁটি ধ্বংস করে এবং ১০০-র বেশি সন্ত্রাসবাদীকে হত্যা করে।
ভারতের এই হামলার জবাবে পাকিস্তান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হানার চেষ্টা করে, তবে ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তা প্রতিহত করে। পরে ভারত নির্বাচিত সামরিক টার্গেটে পাল্টা হামলা চালায়। উভয় দেশের মধ্যে ১০ মে এক যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার অবসান ঘটে।