অমৃতসর, ১৪ মে : তিন সপ্তাহ পাকিস্তানের হেফাজতে থাকার পর বুধবার সকালে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF)-এর কনস্টেবল পূর্ণমকুমার সাউ দেশে ফিরলেন। আজ সকাল ১০টা ৩০ মিনিট নাগাদ তাঁকে ওয়াঘা-অটারি সীমান্তে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেয় পাকিস্তানি রেঞ্জার্স।
২৩ এপ্রিল সকাল ১১টা ৫০ মিনিট নাগাদ পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সেক্টরে কর্তব্যরত অবস্থায় পূর্ণমকুমার সাউ অসাবধানতাবশত সীমান্ত অতিক্রম করে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েন। এরপর পাকিস্তানি রেঞ্জার্স তাঁকে আটক করে।
বিএসএফ জানিয়েছে, পাকিস্তানি রেঞ্জার্সের সঙ্গে একাধিকবার ফ্ল্যাগ মিটিং এবং অন্যান্য যোগাযোগ চ্যানেলের মাধ্যমে নিয়মিত প্রচেষ্টা চালিয়ে ওই জওয়ানের প্রত্যাবর্তন সম্ভব হয়েছে।
১৮২ নম্বর ব্যাটালিয়নের ওই জওয়ান কৃষকদের সঙ্গে সীমান্ত বেড়ার বাইরে জমিতে চাষের কাজে সঙ্গ দিচ্ছিলেন, যা ফিরোজপুর অঞ্চলে একটি নিয়মিত দায়িত্ব। অনুমতি থাকা চাষিদের সীমান্ত লাগোয়া জমিতে কাজ করতে গেলে বিএসএফ জওয়ানরা তাঁদের নিরাপত্তার জন্য সঙ্গে থাকেন। খবর অনুযায়ী, ওই সময় পূর্ণমকুমার সাউ ইউনিফর্ম ও সার্ভিস রাইফেলসহ বিশ্রামের জন্য ছায়ায় দাঁড়িয়েছিলেন, ঠিক তখনই তাঁকে আটক করে পাকিস্তানি রেঞ্জার্স।
তাঁর প্রত্যাবর্তনের ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল, যখন এর ১১ দিন আগে ৩ মে রাজস্থানে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে বিএসএফ এক পাকিস্তানি রেঞ্জারকে আটক করেছিল। এরপর শাও-এর পরিবারের মধ্যে সম্ভাব্য বন্দি-বিনিময়ের আশাও তৈরি হয়।
পূর্ণম সাহু’র স্ত্রী রজনি সাউ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন করেছিলেন, যাতে তাঁর স্বামীর মুক্তি নিশ্চিত করা যায়। সাহু’র বাড়ি হুগলির রিষড়ায়। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে রজনি সাহু ফিরোজপুর গিয়েছিলেন এবং বিএসএফ-এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও দেখা করেন।
বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, কনস্টেবল সাহু বর্তমানে নিরাপদে আছেন এবং তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার পর তাঁকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

