ওয়াশিংটন, ১২ মে : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশজুড়ে ওষুধের মূল্য ৩০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস করার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে তিনি শীঘ্রই সই করবেন, যা মার্কিন নাগরিকদের জন্য চিকিৎসা ব্যয় অনেকটাই কমিয়ে দেবে।
ট্রাম্প তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ জানান, “আমেরিকা এখন সেই দামই দেবে, যা বিশ্বের সর্বনিম্ন মূল্যদানকারী দেশ দেয়।” তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত মার্কিন ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নীতি হতে চলেছে এবং এর ফলে সরকার ট্রিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করতে পারবে।
নতুন নীতির আওতায়, আমেরিকায় বিক্রিত প্রিসক্রিপশন ওষুধের দাম বিশ্বের অন্যান্য দেশে নির্ধারিত সর্বনিম্ন মূল্যের সমান হবে। এই লক্ষ্য পূরণের জন্য ‘মোস্ট ফেভার্ড নেশন পলিসি’ প্রয়োগের কথা বলা হয়েছে, যার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ওষুধ সরবরাহকারীদের কাছ থেকে সবচেয়ে কম দামে ওষুধ ক্রয় করবে।
ট্রাম্প বলেন, “আমেরিকানদের বহু বছর ধরে ওষুধের জন্য অন্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি মূল্য গুনতে হয়েছে, যা অযৌক্তিক। এখন সময় এসেছে এই অবিচার বন্ধ করার।”
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউস মেডিকেয়ার ব্যবস্থার অধীনে কেনা ওষুধের ওপর বড় রকমের ছাড় দেওয়ার পরিকল্পনা করছে, যার ফলে প্রবীণ ও প্রয়োজনীয় নাগরিকরা সরাসরি উপকৃত হবেন।
তবে এখনো পর্যন্ত ট্রাম্প এই নীতিকে কার্যকর করতে নির্দিষ্ট সময়সীমা বা অর্থায়নের প্রক্রিয়া স্পষ্ট করেননি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই আদেশের কারণে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোর তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়তে পারে ট্রাম্প প্রশাসন। আগের মেয়াদে এই নীতি বাস্তবায়নের চেষ্টা হলেও আইনি জটিলতা এবং বিরোধীদের আপত্তিতে তা বাস্তবায়িত হয়নি। বাইডেন প্রশাসনও ট্রাম্পের শেষ দিকের আদেশটি বাতিল করেছিল।
এবারও এই পদক্ষেপ আদালতে চ্যালেঞ্জ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পর্যবেক্ষকরা।
বিশ্লেষকদের মতে, যদি আমেরিকা এই নীতি কার্যকর করে, তবে তা বিশ্বব্যাপী ওষুধের দাম বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ, ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো অন্য দেশগুলিতে দাম বাড়িয়ে বৈশ্বিক সমতা বজায় রাখার চেষ্টা করতে পারে।

