বেঙ্গালুরু, ১২ মে : বেঙ্গালুরুর বাইতারায়নপুরা থানার অধীনে কেঙ্গেরি অঞ্চলে দাঁড়িয়ে থাকা একটি অটোরিকশায় ১৫ দিনের এক নবজাতক কন্যা সন্তানকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় এক যুগল। ঘটনার তদন্তে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ওই যুগল অবৈধ সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। পুরুষটিকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছে এবং মহিলাকে পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে, কারণ তিনি মাদকাসক্ত।
ঘটনাটি ঘটে ২৪ এপ্রিল। কেঙ্গেরির এটিটিসি কোয়ার্টারসের কাছে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি অটোরিকশার ভেতরে একটি নবজাতককে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ শিশু কল্যাণ আধিকারিকের সঙ্গে ঘটনাস্থলে এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে।
তদন্তে পুলিশ আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখতে পায়, এক যুগল নবজাতকটিকে অটোর পেছনের সিটে রেখে দ্রুত এলাকা ছেড়ে চলে যান। পরে জানা যায়, ওই যুগল বেঙ্গালুরু থেকে রাজ্য পরিবহণ নিগমের একটি বাসে করে মাদিকেরির উদ্দেশে রওনা দেন।
পুলিশ তাঁদের সন্ধান করে ভিরাজপেট শহর থেকে আটক করে। পুরুষটি পি. আপ্পান্না (৪৩), একজন কফি বাগানের মালিক। মহিলা, যিনি ৩০ বছর বয়সী, একজন বিধবা এবং তাঁর একটি সন্তান রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা তাঁদের অবৈধ সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন।
তদন্তে জানা যায়, ওই নবজাতক কন্যা তাঁদের অবৈধ সম্পর্কের পরিণাম। শিশুটির ঠোঁটে জন্মগত বিকৃতি ছিল। তাঁরা দু’জনেই শিশুটিকে নিজের কাছে রাখতে চাননি। সেই কারণেই ভিরাজপেট থেকে বেঙ্গালুরু এসে কেঙ্গেরি স্যাটেলাইট বাস স্টপের কাছে একটি দাঁড়িয়ে থাকা অটোতে নবজাতকটিকে ফেলে রেখে পালিয়ে যান।
আপ্পান্নাকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। মহিলাকে, যিনি মদ্যপানে আসক্ত, একটি রিহ্যাব সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। নবজাতকটিকে ভানী বিলাস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং বর্তমানে শিশু কল্যাণ কমিটির তত্ত্বাবধানে রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, নবজাতকটি সুস্থ আছে এবং ভবিষ্যতে তার নিরাপত্তা ও দত্তক সংক্রান্ত প্রক্রিয়া শিশু কল্যাণ কমিটির তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হবে।

