নতুন দিল্লি, ১১ মে: জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গি হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে তৈরি হওয়া তীব্র উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ভারত চেনাব নদীর ওপর নির্মিত বাঁধগুলোর জল আটকে দিয়েছিল। তবে ১০ মে সন্ধ্যা ৫টা নাগাদ উভয় দেশের মধ্যে সিজফায়ারের ঘোষণা হওয়ার পর একদিনের ব্যবধানে অর্থাৎ ১১ মে ভারত চেনাব নদীর বাগলিহার ও সালাল বাঁধের একাধিক গেট খুলে দিয়েছে। এর ফলে আবারও পাকিস্তানের দিকে পানি প্রবাহিত হতে শুরু করেছে।
পহেলগামের হামলার পর ভারত একাধিক কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর মধ্যে অন্যতম ছিল পাকিস্তানের দিকে পানি প্রবাহ বন্ধ করা এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের দেশ ছাড়ার নির্দেশ। ভারত সরকার সাময়িকভাবে ইন্দাস জলচুক্তি স্থগিত করে এবং চেনাব নদীর জলের প্রবাহ আটকে দেয়। এর ফলে পাকিস্তানের দিকে চেনাব নদীর জলস্তর আশঙ্কাজনকভাবে কমে যায়।
প্রশাসন জানিয়েছে, সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরে টানা বৃষ্টির কারণে বাগলিহার ও সালাল বাঁধে জলস্তর অত্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল। বাঁধে অতিরিক্ত জল জমে থাকায় তা ছেড়ে দেওয়ার প্রয়োজন হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, জল না ছাড়লে বাঁধের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারত। যদিও সরকারিভাবে এখনো পর্যন্ত বাঁধের গেট খোলার প্রকৃত কারণ জানানো হয়নি।
গেট খোলার ফলে পাকিস্তানে চেনাব নদীর শুকিয়ে যাওয়া এলাকাগুলোতে আবারও জল প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদীর নিচু অঞ্চলগুলো প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাকিস্তানি প্রশাসন ইতিমধ্যেই কিছু এলাকায় বন্যার সতর্কতা জারি করেছে।
যদিও সিজফায়ার কার্যকর হয়েছে, তবে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু জলচুক্তি এখনো স্থগিত রয়েছে। ফলে দুই দেশের মধ্যে জলসংক্রান্ত উত্তেজনা পুরোপুরি কাটেনি বলেই মনে করা হচ্ছে।

