আগরতলা, ১০ মে: কাঞ্চনমালা এলাকায় বাবার এবং মায়ের উপর অমানবিক নির্যাতন করছে কিছু সন্তানরা। এমনই ঘটনা ওই এলাকায় আবার হয়েছে। চার ছেলে থাকা সত্ত্বেও অবহেলিত বাবা।
প্রসঙ্গত, সত্যিই এই সমাজ নাকি সভ্য সমাজ, আর এই সভ্য সমাজে বসবাস করে কিছু কিছু সন্তানরা তাদের মা বাবার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে নিজেদের অসভ্যের পরিচয় দিচ্ছে। তাও আবার এই ধরনের ঘটনা বারবার বেশিরভাগ একই এলাকার থেকে উঠে আসছে। গোলাঘাটে বিধানসভার অন্তর্গত কাঞ্চনমালা এলাকায় এই ধরনের একাধিক ঘটনা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশিত হয়েছিল তারপরেও শিক্ষা নিচ্ছে না কিছু স্বার্থলোভী সন্তানরা। এই কাঞ্চনমালা এলাকায় কখনো বাবার উপর অমানবিক নির্যাতন কখনো মায়ের উপর অমানবিক নির্যাতন করে আসছে কিছু সন্তানরা। বারবার কাঞ্চনমালা এলাকায় এই ধরনের ঘটনা ঘটার পরেও এই সভ্য সমাজ একেবারেই চুপ। এই ধরনের ঘটনা বন্ধ করতে সমাজের মানুষগুলি কোন পদক্ষেপই করছে না।
সেই কাঞ্চনমালা এলাকার বৃদ্ধ অনাথ কর্মকার, উনার চার পুত্র সন্তান থাকা সত্ত্বেও আজ যেন তিনি সত্যিই অনাথ। ওনার স্ত্রী বেশ কয়েক বছর আগে মারা যান তখন তিনি ভেবেছিলেন যেহেতু চার ছেলে আছে নিশ্চয়ই তারা তাদের বৃদ্ধ বাবাকে সেবা যত্ন করবে এবং তাদের কাছে আগলে রাখবে কিন্তু সন্তানদের নিয়ে উনার এই ভাবনাটাই যেন উল্টো হয়ে গেছে। চার ছেলের মধ্যে রঞ্জিত কর্মকার নামে মাত্র উনার বাবাকে মাঝেমধ্যে একটু দেখাশোনা করেন এবার আর বাকি তিন ছেলে তাদের বাবার প্রতি কোন দায়িত্ববোধ এবং কর্তব্য নেই।
অনাথ কর্মকার শনিবার দুপুরে সংবাদ মাধ্যমের দ্বারস্থ হয়ে উনার এই অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরতে গিয়ে বলেছেন কত কয়েকদিন আগে বৃদ্ধ বাবা অনাথ কর্মকারের কিছু রাবার গাছ রয়েছে, সেই রাবার গাছ থেকে যা কিছু আয় হয় তা দিয়েই উনি কোনরকম ভাবে উনার এই একজনের সংসার চালিয়ে আসছিলেন কিন্তু হঠাৎ বাবা অনাথ কর্মকারের রাবার বাগানের কুনজড় পড়ে ছেলে প্রদীপ কর্মকারের। উনার রাবার বাগান জোরপূর্বক বাবার কাজ থেকে দখল করে নেয় এই প্রদীপ কর্মকার। শুধু তাই নয় আরো অভিযোগ প্রদীপ কর্মকার নাকি উনার এই বৃদ্ধ বাবা অনাথ কর্মকারকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছেন। এতেও যেন ছেলে প্রদীপ কর্মকারের শখ মিটেনি অবশেষে বৃদ্ধ বাবার সামান্য উপার্জনের উৎস সেই রাবার বাগান টিও দখল করে নেয়।
আজ ছেলের এই কর্মকাণ্ডের ফলে বৃদ্ধ বাবা অনাথ কর্মকার আজ সত্যিই যেন অনাথ হয়ে পড়েছেন। তাই তিনি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শনিবার দুপুরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে দাবি জানিয়েছেন দেশে প্রদীপ কর্মকারের মতো আর কোন সন্তান যেন এভাবে মা বাবার উপর এই ধরনের নির্যাতন না করে তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী যেন কঠুর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

