কিয়েভ, ৪ মে: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ৯ মে-তে রাশিয়ার বিজয় দিবসের পাল্টা হিসেবে কিয়েভে একটি বিকল্প আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা করেছিলেন। এই অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও, সমস্ত ইউরোপীয় নেতারা সেই আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছেন, বলে জানিয়েছে পলিটিকো।
জেলেনস্কি এই উদ্যোগের মাধ্যমে রাশিয়ার সামরিক প্রদর্শনের কেন্দ্রবিন্দু থেকে আন্তর্জাতিক মনোযোগ সরাতে এবং ইউক্রেনের প্রতি সমর্থনের বার্তা দিতে চেয়েছিলেন। তবে স্লোভাক সংসদের উপ-সভাপতি টিবোর গাসপার স্পষ্ট করে জানান, “ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো নেতা কিয়েভ সফরে যাচ্ছেন না।”
পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক ওই সময় ফ্রান্সের ন্যান্সিতে একটি নিরাপত্তা চুক্তিতে সই করতে যাচ্ছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার অংশ নিচ্ছেন ওসলোয় একটি প্রতিরক্ষা সম্মেলনে। জার্মানির সম্ভাব্য চ্যান্সেলর ফ্রেডরিক মার্জ সরকার গঠন প্রক্রিয়ার আগে কিয়েভ সফর করবেন না বলে জানিয়েছেন।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় নেতারা এখন তাঁদের নিজ নিজ কৌশলগত অগ্রাধিকারে মনোনিবেশ করছেন। কেউ কেউ নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বৈঠকে ব্যস্ত, আবার কেউ রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা এড়াতে কৌশলগত ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছেন।
ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী আন্দ্রেই সিবিগা ৯ মে-র অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় সংহতির আহ্বান জানালেও, তাঁর আহ্বানে কোনো সাড়া মেলেনি। এই ঘটনা ইউক্রেনের কূটনৈতিক চেষ্টার একটি বড় ব্যর্থতা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনার মাধ্যমে ইউক্রেনের প্রতি ইউরোপীয় সমর্থনের সীমা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। রাশিয়ার বিজয় দিবসের পাল্টা বার্তা দিতে চাওয়া কিয়েভের এই উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ায় আন্তর্জাতিক পরিসরে ইউক্রেনের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

