আগরতলা, ২ মে: শিক্ষকের বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে অপহৃতা হয়েছে এক নাবালিকা। তাকে উদ্ধারের চেষ্টায় আমতলি থানার পুলিশ। ওই ঘটনায় আমতলী থানার অন্তর্গত রানির খামার এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, রাণী খামার এলাকার ১৬ বছরের এক নাবালিকা মেয়ে অন্যান্য দিনের মতো বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ বাড়ির কাছাকাছি শিক্ষকের বাড়িতে যাবে বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। পরে হঠাৎ একটি অচেনা নাম্বার থেকে ওই নাবালিকা মেয়েটির বাবার কাছে ফোন আসে যে নাকি রানীর খামার এলাকার সুখেন দাসের ছেলে অলক দাস উরফে কাজল ওই নাবালিকা মেয়েটিকে নিয়ে চলে যাচ্ছে এবং আর নাকি বাড়িতে আসবেনা । হঠাৎ এই ফোন পেয়ে নাবালিকা মেয়েটির পরিবারের লোকজন দিশেহারা হয়ে যায় এবং সাথে সাথেই নাবালিকা মেয়েটির পরিবারের লোকজন আমতলী থানা এসে বিষয়টি মৌখিকভাবে আমতলী থানার পুলিশকে জানায়। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গেই অলক দাস উরফে কাজলের বাড়িতে ছুটে যায়। সেখানে গিয়ে অলক দাস এবং নাবালিকা মেয়েটিকে না পেয়ে অলক দাসের পরিবারের লোকজনদের হুশিয়ারি দেয় যে খুব শীঘ্রই যেন নাবালিকা মেয়েটিকে তার পরিবারের লোকজনদের হাতে তুলে দেয়। শুক্রবার সকাল হয়ে গেলেও নাবালিকা মেয়েটির কোন সন্ধান না পেয়ে অবশেষে তার পরিবারের লোকজন আমতলী থানায় অলক দাস উরফে কাজলের বিরুদ্ধে লিখিত আকারে অপহরণের মামলা দায়ের করে।
আমতলী থানার পুলিশ মামলা হাতে পেয়ে নাবালিকা মেয়েটিকে উদ্ধার সহ অভিযুক্ত অপহরণকারী অলক দাস উরফে কাজলকে গ্রেফতারের জন্য মাঠে নামে। শুক্রবার দুপুরেও মিতালী থানার শ্রাবন্তী সুস্মিতা দেবনাথ সহ পুলিশ ও টি এস আর বাহিনী অভিযুক্ত অপহরণকারীর বাড়িতে গিয়ে তার মা-বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং পুলিশের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যে যেন অভিযুক্ত অপহরণকারী নাবালিকা মেয়েটিকে নিয়ে আমতলী থানায় আত্মসমর্থন করে।

