চেন্নাইয়ের চুরির ঘটনায় উত্তপ্ত ত্রিপুরার বিশালগড় থানা, চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার রাজ্যের দুই যুবক

নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ২০ এপ্রিল:

সিনিয়র আইএএস অফিসারের মেয়ের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। একা ঘরে থাকা ৮০ বছরের বৃদ্ধা এবং কাজের মহিলাকে ফাঁকি দিয়ে ৩১ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি হয়। ঘটনাটি ঘটে চেন্নাইয়ে। কিন্তু এই ঘটনার সাথে যোগসূত্র রয়েছে ত্রিপুরার দুই যুবকের। ত্রিপুরার চড়িলাম বিধানসভার আড়ালিয়া এলাকার দুই যুবক মিলে চেন্নাইয়ে এই চুরি কান্ড সংঘঠিত করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই রিপন মিয়া ও বিটন মিয়া নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে চেন্নাই নিয়ে গেছে চেন্নাই পুলিশ।

প্রধান অভিযুক্ত রিপন মিয়া চেন্নাইয়ের সেই হাই প্রোফাইল উচ্চ পর্যায়ের অফিসারের মেয়ের বাড়িতে টয়লেট ক্লিনার হিসেবে কাজ করতে গিয়েছিল। কাজের ফাঁকে বাড়িতে ৮০ বছরের এক অসুস্থ বৃদ্ধা ব্যতীত অন্য কেউ না থাকায়, সেই সুযোগে সহযোগী বিটন মিয়াকে সাথে নিয়ে সেই বাড়ি থেকে প্রায় ৩১ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে আসে ত্রিপুরায়। পরে চেন্নাই পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে চোরেদের সনাক্ত করে ত্রিপুরার বিশালগড় থানায় যোগাযোগ করে। পরে বিশালগড় থানার সহযোগিতায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে চেন্নাই পুলিশ। পরবর্তী সময়ে তাদের জেড়া করে জানতে পারে তারাই চুরি কান্ডে যুক্ত।

উল্লেখ্য, বিশালগড় এস.কে জুয়েলার্স নামে এক স্বর্ণের দোকানে চুরি করা স্বর্ণালংকারগুলি গলানো হয় চেন্নাই থেকে চুরি করে নিয়ে আসা স্বর্ণালংকার। সেই সূত্র ধরে শনিবার রাতে উক্ত স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে চেন্নাই পুলিশ। পরে সাইফুল ইসলামের জবানবন্দিতে জানা যায় উক্ত স্বর্ণালংকার সাইফুলের সহযোগিতায় বিশালগড়ের এস কে জুয়েলার্সে গলানো হয় এবং পরবর্তী সময় তা আগরতলার কোন এক স্বর্ণের দোকানে বিক্রি করা হয়। প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার উপর স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় চেন্নাই পুলিশ রবিবার বিশালগড়ের এসকে জুয়েলার্স দোকানের মালিক সত্য রঞ্জন কর্মকারকে আটক করে। কিন্তু তখনই বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা বাধাদান করে চেন্নাই পুলিশকে।

ঘটনাটি বিশালগড় থানার ভেতরে নিয়ে যায় বাজারের ব্যবসায়ীরা। পরবর্তী সময় বিশালগড়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী সত্য রঞ্জন কর্মকারকে পুলিশের হাত থেকে ছাড়িয়ে আনতে বিশালগড় থানা ঘেরাও করে বাজার ব্যবসায়ীরা। বিশালগড় থানা, চেন্নাই পুলিশ ও বিশালগড় বাজার ব্যবসায়ীদের যৌথ বৈঠকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন সুরাহা বের হয়নি।

একদিকে চেন্নাই পুলিশ উক্ত ঘটনার তদন্তক্রমে জুয়েলারি দোকানের মালিককে চেন্নাই নিয়ে যেতে চায়, আর অন্যদিকে বিশালগড় বাজার ব্যবসায়ী এবং বিশালগড় পুলিশের দাবি ত্রিপুরায় থেকেই এ বিষয়ে উনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। তবে দীর্ঘ আলোচনার পরেও খবর লেখা পর্যন্ত উক্ত বিষয়ে কোনো সমাধান বের হয়নি।