আগরতলা, ১৪ এপ্রিল:
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ত্রিপুরা সরকার ঘোষণা করেছিল ন্যায্যমূল্যে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিক্রির। রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী সুধাংশু দাস গতকাল জানান, ত্রিপুরা এপেক্স ফিশারী কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের উদ্যোগে মহারাজগঞ্জ বাজারে বিশেষ কেন্দ্র খোলা হবে যেখানে সাধারণ মানুষ ন্যায্যমূল্যে নানা ধরনের মাছ কিনতে পারবেন।
কিন্তু বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। আজ নববর্ষের দিন সকাল থেকে বাজারে ভিড় জমলেও দেখা গেল সেই বিশেষ কেন্দ্রে শুধুমাত্র ইলিশ ও সার্ডিন (কুকিলা) মাছ বিক্রি হচ্ছে। অন্য কোনো প্রজাতির মাছ সেখানে পাওয়া যাচ্ছে না। ক্রেতারা জানিয়েছেন, প্রচারে বলা হলেও বাস্তবে মাছের বৈচিত্রের ছিটেফোঁটাও নেই।
তার উপর দামও বাজারমূল্যের চেয়ে খুব একটা কম নয়। ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২০০ টাকায়। ১ কেজি থেকে ১.২ কেজি পর্যন্ত ইলিশের দাম প্রতি কেজি ১৩০০ টাকা এবং ১.২ কেজি থেকে ১.৫ কেজি পর্যন্ত ইলিশের দাম ১৫০০ টাকা প্রতি কেজি। সার্ডিন মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৫০ টাকায়।
এমন পরিস্থিতিতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অনেক ক্রেতা। তাঁদের অভিযোগ, যদি শুধু ইলিশ ও সার্ডিন বিক্রি করারই পরিকল্পনা ছিল, তাহলে প্রচারে ‘বিভিন্ন প্রজাতির মাছ’ বলার দরকার ছিল না। অনেকেই বলেন, এই ধরনের প্রচার সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে।
পহেলা বৈশাখ বাঙালির কাছে এক বিশেষ দিন। সেই দিন মাছপ্রেমী বাঙালির রসনা তৃপ্তির যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা বাস্তবে পূরণ না হওয়ায় চরম হতাশা তৈরি হয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন।

