আগরতলা, ৩ এপ্রিল : প্রতিনিয়ত তিপ্রা মথার অভ্যান্তরে ফাটল ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু একতা থাকলে আগামী ২০২৮ সালে ত্রিপুরায় রাজ শাসনের দায়িত্বভার পালন করবে তীপ্রাসা। তারজন্য সবাইকে একত্রে লড়াই জারি রাখতে হবে। আজ উদয়পুরে তিপ্রা মথার জনসমাবেশে এমনটাই দাবি করলেন দলের প্রাক্তন সুপ্রিমো তথা এমডিসি প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মা।
তাঁর দাবি, আগামীদিনে উদয়পুরের জনসমাবেশ থেকেও আগরতলায় বিশাল জনসমাবেশ করে তীপ্রাসাদের ঐক্যের ক্ষমতা গোটা রাজ্যবাসীকে দেখিয়ে দিতে হবে। কারণ, তীপ্রাসাদের অধিকার আদায়ে এখন কাউকে ভয় পেলে চলবে না। গরিব তীপ্রাসা আমার সাথে থাকলে আমার কোনো ভয় নেই. আমি আমার জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত তীপ্রাসাদের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই জারি রাখবো, বলেন দাবি তাঁর। কারণ, আমার প্রতিশ্রুতি তিপ্রাসাদের সাথে কোনো দলের সাথে আমার প্রতিশ্রুতি নেই। এদিনের জনসমাবেশে বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন তিনি। তাঁর কটাক্ষ, বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী তিপ্রা মথার বিরুদ্ধে জনসম্মুখে কথা বলছেন। কিন্তু তিনি আজ পর্যন্ত ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের বিরুদ্ধে তীপ্রাসাদের জন্য লড়াই করেন নি। যদি ক্ষমতা থাকে তাহলে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের বিরুদ্ধে তীপ্রাসাদের জন্য লড়াই করুন, চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তিনি।
এদিন শ্রী দেবর্বমণ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তিপরা মথা নায্য দাবি জানিয়েছে আসছে। কিন্তু পূর্বতন সরকার থেকে শুরু করে বর্তমান সরকারের আমলেও এই দাবি পূরণ হয়নি। তিপ্রাসাদের ভাষা, উন্নয়নের দাবি পূরণের কথা আসলে কংগ্রেস, বামফ্রন্ট এবং বিজেপির সরকারের তালবাহানা শুরু হয়ে যায়। বিধানসভার বাইরে এবং ভিতরে আমার পূর্ন সমর্থন রয়েছে। কারণ, তরুণ ও পরবর্তী প্রজন্মের জন্য কোনো আপস করা যাবে না। ছাত্র ছাত্রীরা পাস না করলে তাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী বিধানসভার বাইরে এবং ভিতরে ককবরক ভাষা রোমান হরফ ব্যবহারের দাবি জানান নি। একবারও ছাত্র ছাত্রীরদের ভবিষ্যৎ নষ্ট নিয়ে চিন্তা করেন নি। কিন্তু আমি ছাত্র ছাত্রীরদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আন্দোলনে সামিল হয়েছি।
তাঁর অভিযোগ, গত ২৫ বছরে সিপিএম সবকিছুতে সস্তা রাজনীতি করে গেছে। কিন্তু তিপ্রাসাদের উন্নয়নে কোনো কাজ করেনি। তাই তিপ্রাসাদের উন্নয়নের জন্য আমাকেই লড়াই করতে হবে। কারণ , আমার অস্তিত্ব একমাত্র তিপ্রাসাই তৈরী করেছে। এদিন তিনি আরো বলেন, আজ আমরা অনেক বিপদে আছি। কারণ , বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব প্রতিনিয়ত জনজাতির আক্রমনের শিকার হচ্ছেন। কিন্তু আমি অন্তর্বর্তী সরকারকে চ্যালেঞ্জ করছি ত্রিপুরার উপর যদি আঘাত হানা হয় তাহলে বাংলাদেশকে ভাগ করে গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড তৈরী করা দেওয়া হবে, হুঁশিয়ারি তাঁর। এদিন তিনি আরো বলেন, প্রতিনিয়ত তিপ্রা মথার অভ্যান্তরে ফাটল ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। কারণ , তীপ্রসাদের ঐক্য ভাঙাতে পারলে ত্রিপুরায় অনেকেই রাজ্ করতে পারবে। কিন্তু তাঁদের এই পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে তীপ্রসাদের মধ্যে একতা প্রয়োজন।