আগরতলা, ২৭ মার্চ: বুধবার বাজেট অধিবেশনে স্বাধিকার ভঙ্গের গৃহীত নোটিশ প্রচলিত বিধি অনুসরণ করে গ্রহণ করা হয়নি, তাই এটি অবৈধ। অবিলম্বে এই স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ বাতিল করে বিরোধী দলনেতার দেওয়া নোটিশ গ্রহণ করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক অধ্যক্ষ। আজ সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই দাবি করেন বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী।
এবিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে তিনি বলেন, গতকাল (২৬শে মার্চ, ২০২৫ ইং) শূন্যকালে বিধানসভার অধ্যক্ষ হাউজে ঘোষনা দিয়েছেন গত পরশুদিন অর্থাৎ ২৫শে মার্চ, ২০২৫ ইং তারিখে তিনি দুটি স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ পেয়েছেন। তারমধ্যে, প্রথমটি পরিষদীয় মন্ত্রী রতন লাল নাথ-এর ব্যক্তিগত সচিবের কাছ থেকে অধ্যক্ষের ব্যক্তিগত সচিব মারফৎ এবং দ্বিতীয়টি বিরোধী দলনেতার তরফ থেকে বিধানসভার সচিবের অফিস মারফৎ। যেহেতু কোন একটি অধিবেশনে একটির বেশী দুইটি স্বাধিকার ভঙ্গের মোশান গ্রহণের সুযোগ এই বিধানসভার বিধিতে নেই তাই প্রথমটি গ্রহণ এবং দ্বিতীয়টি বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু অধ্যক্ষ এই বিষয়ে প্রচলিত ব্যাধি অনুসরণ করেননি বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা।
দিয়ে তিনি বলেন, রুলস অফ প্রসিডিউর এন্ড কন্ডাক্ট অফ বিজনেস ইন ত্রিপুরা এসেম্বলি- এর ধারা ১৭৪ অনুসারে, এই জাতীয় নোটিশ বিধানসভা সচিবের মাধ্যমেই পেশ করতে হবে। এধরণের যে কোন নোটিশ বিধানসভা সচিবের অফিসের রিসিভ ও ডিসপেচ বিভাগে নধীভূকৃত হতে হবে। তাঁর কথায়, বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখলে দেখা যাবে গতকাল স্বাধিকার ভঙ্গের যে নোটিশটি গ্রহণ করেছেন অধ্যক্ষ সেটি প্রচলিত বিধি অনুসরণ করে গ্রহণ করা হয়নি। যা সম্পূর্ণ অবৈধ। ফলে অনতিবিলম্বে গতকালের গৃহীত মোশানটি বাতিল ঘোষণা করতে হবে। এমনটাই দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। এই বিষয়ে তিনি ইতিমধ্যেই বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন কে এক চিঠি লিখেছেন। সেই চিঠিতে সমস্ত বিবরণ দিয়ে বিরোধী দলনেতার চিঠি গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
এছাড়াও ঐ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে বর্তমান আলোচ্য বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় বিরোধীদের উপস্থিত থাকার আহ্বান করেছেন। কিন্তু বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন সময়ে যখন বারবার বিরোধীদের আক্রমণ করা হচ্ছিল তখন মুখ্যমন্ত্রী কিছুই বলেননি। একাধিকবার অধিবেশন উত্তপ্ত হলেও মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করেননি। তাই ওনার আহ্বান স্বীকার করতে পারেনি বিরোধীরা। বিধানসভায় অনুপস্থিতির মাধ্যমে বিরোধীরা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এদিকে মুখ্য সচেতকের তোলা বিভিন্ন অভিযোগ খন্ডন করেছেন বিরোধীদল নেতা। তিনি বলেন, বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর থেকে তিনি যা যা গ্রহণ করেছেন তা কিছুই অনৈতিকভাবে নয়। গাড়ি থেকে শুরু করে বিভিন্ন জিনিসপত্র সেগুলো সব কিছুই বিরোধী দলনেতা হিসেবে ওনার প্রাপ্য। অবৈধভাবে তিনি কিছুই গ্রহণ করেননি। তাই এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন বিরোধী দলনেতা।