নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ মার্চ:
পর্যটনকে সমগ্র রাজ্যে জীবনজীবিকা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই লক্ষ্যে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আজ রাজ্য বিধানসভায় বিধায়ক মাইলায়ু মগের এক প্রশ্নের উত্তরে পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, দক্ষিণ ত্রিপুরায় অবস্থিত মনু বিধানসভার অন্তর্গত মহামুনি বৌদ্ধ মন্দিরের উন্নয়নে পর্যটন দপ্তরের পরিকল্পনা রয়েছে। এই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে সাব্রুমের বনকুলস্থিত মহামুনি বৌদ্ধ মন্দির, মহামুনি পেগোডা, ধম্মদীপা ইন্টারন্যাশনাল বৌদ্ধিস্ট ইউনিভার্সিটি, ধম্মদীপা স্কুল, শাক্যমুনি ওয়ার্ল্ড পিস পেগোডা ইত্যাদি বৌদ্ধস্থাপনা এবং লুধুয়া চা বাগানকে নিয়ে একটি বৌদ্ধ সার্কিট গড়ে তোলা। এই পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবে দক্ষিণ ত্রিপুরার বিভিন্ন বৌদ্ধস্থাপনাগুলি এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের প্রজেক্ট ডিজাইন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট টিম পরিদর্শন করেছে। পর্যটনমন্ত্রী জানান, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের অর্থ সাহায্য পাওয়া গেলে এই পরিকল্পনা রূপায়ণের কাজ দ্রুত শুরু হবে।
বিধায়ক স্বপ্না মজুমদার এবং বিধায়ক স্বপ্না দাস পালের অন্য দুটি পৃথক প্রশ্নের উত্তরে পর্যটনমন্ত্রী জানান, রাজনগর বিধানসভার অন্তর্গত চোত্তাখলা মৈত্রী পার্কটি পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার লক্ষ্যে পর্যটন দপ্তর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। তিনি জানান, ভারত সরকারের পর্যটন মন্ত্রক কর্তৃক স্বদেশ দর্শন প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের মাধ্যমে ‘ভারত-বাংলা মৈত্রী উদ্যান’ পর্যটন কেন্দ্রটির উন্নয়নের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে।