আগরতলা: ২৫ মার্চ : ত্রিপুরায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি সংক্রান্ত কেলেঙ্কারী নিয়ে সরব হয়েছেন কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ। আজ বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনের তৃতীয় দিনে শূন্যকালে মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ডা.) মানিক সাহার দৃষ্টি আর্কষণ করে বিষয়টি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। এর জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
আজ বিধানসভায় রায় বর্মন অভিযোগ করেন, ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, এনআইটি, ন্যাশনাল ল’ ইউনিভার্সিটি এবং ফরেনসিক ইউনিভার্সিটিতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা চলছে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আর্কষণ করে বিষয়টি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। এদিন তিনি বলেন, ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য তাঁর ছেলে, পুত্রবধূ এবং তার বন্ধুদের অবৈধভাবে নিয়োগ করেছেন। ন্যাশনাল ল’ ইউনিভার্সিটিতে ত্রিপুরার পাঁচজন প্রার্থী সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছেন। ভালো যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও তারা এখনও প্রবেশনার হিসেবে কাজ করছেন এবং আরও এক বছর প্রবেশনার হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে বিষয়টি নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
এদিন তিনি আরও বলেন, এটি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। ত্রিপুরার যুবকদের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। যেখানে অন্য রাজ্যের প্রার্থীদের পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে। এটি চলতে দেওয়া যায় না। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করে বিষয়টি তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা বলেন, চাকরি সংক্রান্ত কেলেঙ্কারীর বিষয়টি আমার নজরে রয়েছে। এক্ষেত্রে কোথাও কোনও অনিয়ম হয়েছে কিনা তার খোঁজ খবর রাখার চেষ্টা করছি। যেখানে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখব।