সমস্ত জেলাতে প্রসিকিউশন অফিস স্থাপন করছে সরকার: মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ২৪ মার্চ: মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা সোমবার বলেছেন যে ত্রিপুরায় সাজার হার বিগত তিন বছরে ২১% বৃদ্ধি পেয়েছে। সদ্য প্রণীত ৩টি ফৌজদারি আইন কার্যকর কার্যকর করার জন্য ত্রিপুরার আটটি জেলায় ডেপুটি ডিরেক্টর অফ প্রসিকিউশন অফিস স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার।

মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ২০২৪ সালের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে রাজ্যে ফৌজদারি মামলায় শাস্তির শতকরা হার রয়েছে ২৯.৮০%। বিগত বছরগুলির চাইতে বর্তমানে সাজার হার তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

সোমবার রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনে স্বরাষ্ট্র সম্পর্কিত বিষয়ে আনীত প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানান মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।

তথ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে নিবন্ধিত মোট ফৌজদারি মামলার সংখ্যা ২০২২ সালে ৪,৫৩২টি, ২০২৩ সালে ৫,০০২টি এবং ২০২৪ সালে ৪,০৩৩টি। চার্জশিট দায়ের হয়েছে ২০২২ সালে ৩,৫৪৮টি, ২০২৩ সালে ৩,৯৭০টি এবং ২০২৪ সালে ২,৯১০টি। উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২২ সালে ৬৫০ দোষী সাব্যস্ত হওয়ার রেকর্ড করা হয়েছিল। যা ২০২৩ সালে ৬৪০ এবং ২০২৪ সালে ৮১১। ২০২৪ সালে সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীর সংখ্যা ১,৫৯৬ জন। এই পরিসংখ্যান থেকে ২০২২/২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে সাজার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালের তুলনায় ২৪ সালে সাজার হার ২০% এবং ২০২৩ সালের তুলনায় ২৪ সালে সাজার হার ২১% বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া প্রসিকিউশনকে আরো শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য আইন পাশ হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, সাজার হার নিশ্চিত করতে নতুন তিনটি ফৌজদারি আইন বলবৎ করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে – ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ২০২৩ (বিএনএস), ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (বিএনএসএস) এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম (বিএসএ)। মুখ্যমন্ত্রী জানান, সম্প্রতি গুয়াহাটিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে উত্তর পূর্বের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে রাজ্যের তরফে এই তিনটি আইন নিয়ে কি কি করা হয়েছে এবিষয়ে তথ্য দিতে হয়েছে আমাকে। ইতিমধ্যে রাজ্যে এই ধারাগুলির সুষ্ঠ প্রয়োগের জন্য ৮টি জেলাতে ডেপুটি ডিরেক্টর অফ প্রসিকিউশন অফিস গঠন করা হয়েছে। এজন্য ৭০টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এসকল পদের মধ্যে রয়েছে – ডেপুটি ডিরেক্টর, এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর, অফিস সুপারিনটেনডেন্ট, হেড ক্লার্ক, আপার ডিভিশন ক্লার্ক, লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক, রেকর্ড কিপার, গ্রুপ ডি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই প্রসিকিউশন যথাযথ হোক। সরকার আইন প্রয়োগকে শক্তিশালী করতে এবং ত্রিপুরার জনগণের পক্ষে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *