পাহাড়ে বসবাসকারী জনজাতি মানুষজনদের অর্থনৈতিক সংকট,খাদ্য সংকট দূরীকরণের জন্য প্রশাসনের কাছে চাহিদা

তেলিয়ামুড়া, ২৩ মার্চ : তেলিয়ামুড়া শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার আসাম আগরতলা জাতীয় সড়ক ধরে ১৮ মুড়া পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত আঠারো মুড়া এডিসি ভিলেজের ৪৭ মাইল স্থিত পিজেপি কলোনী এলাকায় বসবাসকারী জনজাতি মানুষজনেরা বর্তমানে নানা অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছেন। ওই এলাকায় প্রায় ৪০ থেকে ৫০টি পরিবার বসবাস করছে, যাদের অধিকাংশই জীবনযাপন করতে সংগ্রাম করছে।

প্রধানত জুম চাষ ও বনের লতা পাতা বিক্রির মাধ্যমে ওই এলাকার বাসিন্দারা রোজগার করতেন, তবে বর্তমানে অধিকাংশ পরিবারই জীবনযাপন নির্বাহে ব্যর্থ হয়ে বিকল্প রোজগারের পথ অনুসরণ করতে বাধ্য হচ্ছে। বিগত সরকারের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ওই এলাকায় গিরিবাসীদের এনে পিজেপি কলোনি তৈরি করা হলেও, বর্তমানে ওই এলাকায় বসবাসকারী মানুষজনেরা প্রতিনিয়তই জীবনযুদ্ধে লিপ্ত।

বর্তমান সরকারের প্রশাসনিক ব্যবস্থায়ও ওই এলাকার বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা সচ্ছল করার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। খাদ্য সংকট ও দৈনন্দিন জীবনযাত্রার জন্য একাংশ মানুষ প্রশাসনিক বিরোধী কাজকর্মে লিপ্ত হচ্ছেন। তারা আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের রাস্তার পাশে থাকা ইট সংগ্রহ করছে এবং মাটির নিচ থেকে প্রচুর ইট বের করে চিপস তৈরি করে বিক্রি করছে। তাদের দাবি, জীবিকার জন্য এ ছাড়া আর কোন বিকল্প ব্যবস্থা নেই।

অন্যদিকে, সরকারি ইট মাটি কুড়ে তুলে প্রকাশ্যে বিক্রি করা হলেও প্রশাসনিক কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া নিয়ে স্থানীয় জনগণের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। সড়কের দুই প্রান্তের বহু স্থানে রাস্তা ভেঙ্গে গিয়েছে এবং বর্ষাকালে আরো বড় বিপদ আসতে পারে, এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন একাংশ জনসাধারণ।

এদিকে, ওই এলাকায় নির্বাচিত উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী ও স্ব-শাসিত জেলা পরিষদের ইএম কমল কলই বিজয়ী হলেও, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তারা স্থানীয় জনজাতি মানুষের সমস্যার প্রতি যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না।

এখন দেখার বিষয়, বর্তমান প্রশাসন কীভাবে ওই এলাকার খাদ্য সংকট দূরীকরণে পদক্ষেপ নেবে এবং স্থানীয় মানুষের জীবনযাত্রা উন্নয়নে কী উদ্যোগ নেবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *