আগরতলা, ২৬ ফেব্রুয়ারি: রাজ্যে বোর্ড পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে প্রাক্তন জঙ্গিদের জাতীয় সড়ক আটকে বিক্ষোভ প্রদর্শনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ‘আমরা বাঙালী’ সংগঠন। ২৫শে ফেব্রুয়ারি, বড়মুড়া পাহাড়ের পাদদেশে আত্মসমর্পনকারী ত্রিপুরা ইউনাইটেড ইন্ডিজেনাস রিটার্নিস পিপ্লস কাউন্সিলের প্রাক্তন বৈরীরা ২১ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে একটানা ৭ ঘণ্টা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এর ফলে শিক্ষক, পরীক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য সৃষ্টি হয় প্রচণ্ড দুর্ভোগ। অবরোধের পর প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর তারা রাস্তা মুক্ত করেন, তবে দাবী পূর্ণ না হলে ভবিষ্যতে আরও বড় আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের আইপিএফটি’র একটানা ১১ দিনের জাতীয় সড়ক অবরোধের স্মৃতি রাজ্যবাসীর কাছে এখনও তাজা। সেই সময়ের দুর্ভোগ এখনও ভুলতে পারেননি রাজ্যবাসী। ‘আমরা বাঙালী’ সংগঠন অতীতের বাঙালী বিদ্বেষী সেংক্রাক পার্টির ৮০ জুনের গণহত্যার স্মৃতি, এডিসির প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বাঙালীদের বিতাড়ন, অপহরণ, খুন, ধর্ষণসহ নানা অপরাধের কথা উল্লেখ করে এদিনের বিক্ষোভের নিন্দা জানায়।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয় যে, ৮০ জুনের গণহত্যা সহ পরবর্তী সব গণহত্যার জন্য দোষীদের চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করতে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করা হোক। তারা আরও দাবি করে, ৮০ জুন ও তৎপরবর্তী গণহত্যায় নিহত-আহত-ক্ষতিগ্রস্ত সকল মানুষের পূর্ণ ক্ষতিপূরণ ও নিরাপত্তা দিয়ে পুনর্বাসন করা হোক।
ত্রিপুরার প্রাকৃতিক ও মানব সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্লকভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনার মাধ্যমে কর্মসংস্থানের গ্যারান্টি দেওয়ার দাবি জানানো হয় ‘আমরা বাঙালী’ সংগঠনের পক্ষ থেকে। তারা মিথ্যা অপপ্রচার বন্ধ করে ত্রিপুরাতে বাঙালীদের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যও দাবি তোলে।
এছাড়া, সংগঠনটি রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে অভিযোগ করে যে, ভোটব্যাংকের রাজনীতির কারণে উগ্রবাদীদের প্রতি প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে, যা রাজ্যে উগ্রপন্থীদের বাড়বাড়ন্তে সহায়ক হচ্ছে।