নয়াদিল্লি, ২০ ফেব্রুয়ারী: শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এবং বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে এমনটাই দাবি করেছেন বিএসএফ-এর ডিজি দলজিৎ সিং চৌধুরী। সাথে ওই বৈঠকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার খবর অতিরঞ্জিত বলে দাবি করেন বিজিবি-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
এদিনের ওই বৈঠকে বিজিবি-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বেশ কিছু স্থানে বেড়া দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশি প্রতিনিধিদল আপত্তি জানিয়েছেন। কিন্তু আশা করা হচ্ছে ভবিষ্যতে ওই সমস্যাগুলি দ্রুততার সহিত সমাধান করা হবে, বলেন তিনি। তাঁর দাবি , বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার প্রকাশিত খবর অতিরঞ্জিত। বাংলাদেশ প্রশাসন সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে।
সংখ্যালঘুদের বিষয়ে সিদ্দিকী আরো বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার প্রকাশিত খবর অতিরঞ্জিত। তাঁরা ভয় পেয়েছিলেন বলে আমরা বেশ কয়েকটি অভিযোগ পেয়েছি। কিন্তু বিজিবি তাঁদের সবরকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।
বিজিবি প্রধান বলেন, বিএসএফের সাথে তাদের দ্বি-বার্ষিক বৈঠকে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া সম্পর্কিত বিষয়গুলি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করা হয়েছে। মূলত ওই বৈঠকে এটিই ছিল এজেন্ডা। যেখানেই সমস্যা আছে সেখানে বিএসএফ এবং বিজিবি যৌথ জরিপ করবে বলে জানান তিনি। সিদ্দিকী আরও বলেন, ১৯৭৫ সালে সম্মত হওয়া ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত চুক্তি পুনর্গঠনের বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি ওই বৈঠকে।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বি-বার্ষিক ডিজি-স্তরের সীমান্ত আলোচনার এটি ৫৫তম সংস্করণ যা তাদের নিজ নিজ সীমান্তরক্ষী বাহিনী – বিএসএফ এবং বিজিবি দ্বারা পরিচালিত হয়েছে।গত বছরের আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এটি ছিল দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে প্রথম শীর্ষ-স্তরের বৈঠক।
বিএসএফ ৪,০৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষা করে যা পাঁচটি রাজ্য – পশ্চিমবঙ্গ (২,২১৭ কিলোমিটার), ত্রিপুরা (৮৫৬ কিলোমিটার), মেঘালয় (৪৪৩ কিলোমিটার), আসাম (২৬২ কিলোমিটার) এবং মিজোরাম (৩১৮ কিলোমিটার) জুড়ে বিস্তৃত।এই দ্বি-বার্ষিক আলোচনার শেষ সংস্করণটি গত বছরের মার্চ মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল।