ক্যানিং, ৩১ জানুয়ারি (হি.স.) : কুম্ভ স্নানে গিয়ে নিখোঁজ হলেন দুই মহিলা। একজনের নাম সবিতা দেবনাথ ও অন্য জন গীতা মন্ডল। প্রথম জন ক্যানিং জয়দেবপল্লী শ্মশানঘাট পাড়া এলাকার বাসিন্দা ও দ্বিতীয় জন গোসাবার দয়াপুরের বাসিন্দা। এরা সকলেই মৌনি অমাবস্যায় প্রয়াগরাজে ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করার জন্য কুম্ভমেলায় রওনা দিয়েছিলেন। ২৯ জানুয়ারি থেকেই তাঁরা নিখোঁজ। তাঁদের খোঁজ না পেয়ে চিন্তিত পরিবারের সদস্যরা।
সবিতা ক্যানিং থেকে সোমবার রওনা দিয়েছিলেন স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে। মৌনি অমাবস্যায় স্নানের জন্য যখন যাচ্ছিলেন তখনই কুম্ভমেলায় দুর্ঘটনা ঘটে। সেখানেই ছিলেন সবিতা ও তাঁর সঙ্গীরা। হুড়োহুড়ির মধ্যে গ্রামের মানুষদের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁর। সেই থেকে নিখোঁজ বছর ছেষট্টির ওই মহিলা। পরিবারের সদস্যরা নানা ভাবে খোঁজখবর করেছেন, কিন্তু কোনও হদিশ মেলেনি তাঁর।
অন্যদিকে, গীতা তাঁর ছেলে গৌরাঙ্গ মন্ডলের সঙ্গে রওনা দিয়েছিলেন কুম্ভের উদ্দেশ্যে। সেখানে প্রচন্ড ভিড়ের কারণে ছেলের থেকে হাত ছেড়ে যায় তাঁর। সেই থেকে তিনিও নিখোঁজ। কুম্ভ ছাড়াও অযোধ্যা, বেনারস সহ আরও কিছু জায়গায় তীর্থে যাওয়ার কথা ছিল দুজনেরই। কার্যত সেদিন থেকেই নিখোঁজ এই দুজন মহিলা। সবিতার পরিবার ক্যানিং থানায় নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করেছেন। অন্যদিকে গীতার পরিবার সুন্দরবন কোস্টাল থানায় নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করেছেন। পরিবারের লোকজন যথেষ্ট দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। সবিতার ছেলে মানস দেবনাথ ও তাপস দেবনাথ বলেন, “ শুনলাম দুর্ঘটনার সময় মা ঘটনাস্থলেই ছিলেন। সেই থেকেই নিখোঁজ। এখনও কোনও খোঁজ পাচ্ছি না। থানায় নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করেছি। মেলাতেও যোগাযোগের চেষ্টা চালাচ্ছি।” অন্যদিকে গীতার ছেলে গৌরাঙ্গ মণ্ডল বলেন, “ প্রচন্ড ভিড়ে মায়ের থেকে হাত ছেড়ে যায় ২৯ তারিখ। সেই থেকেই নিখোঁজ মা। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মেলেনি। স্থানীয় থানাতেও জানিয়েছি। কিন্তু কোনও খোঁজ পাইনি।”