আগরতলা, ৩১ জানুয়ারি: প্রকাশ্য সমাবেশ থেকে রাজ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে থাকলে সিপিআইএম তার দায় নেবে। তাছাড়া, তার প্রমাণ দেওয়া হলে জনগনের নিকট ক্ষমাও চাওয়া হবে। আজ সাংবাদিক সম্মেলনে প্রকাশ্য সমাবেশ নিয়ে বিজেপির অভিযোগের পাল্টা জবাব দিলেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক তথা বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। সাথে তিনি আপামর জনগণকে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে জনসমাবেশে সামিল হওয়ার জন্য ধন্যবাদও জানিয়েছেন।
এদিন শ্রী চৌধুরী বলেন, সিপিআইএমের জনসমাবেশ আটকাতে নানা ধরণের ষড়যন্ত্র হয়েছিল। তারপর ও জনগণ সব বাধা উপেক্ষা করে জনসমাবেশে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সামিল হয়েছেন তাঁরা। আসলে ওই সম্মেলন মেহনতি এবং জনগণের সমাবেশ ছিল। তাঁর কথায়, গত ৭ বছর যাবৎ বিজেপির দ্বারা যাঁরা অত্যাচার এবং বঞ্চনার শিকার হয়েছেন তাঁরাই আজ সিপিআইএমের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
এদিন তিনি অভিযোগ করেন, সিপিআইএমের এই কর্মসূচিকে বানচাল করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। প্রকাশ্য জনসম্মেলন করতে ভেনু নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছে রাজ্য সরকার। শেষ মূহুর্তে এসে উমাকান্ত মাঠের আবেদন খারিজ করেছে। এমনকি, ধর্মনগর, সাব্রুম, কমলপুর, সহ একাধিক জায়গা থেকে আগত সিপিআইএমের কর্মী সমর্থকদের বাঁধা দেওয়া হয়েছে। এমনকি পথ আটকে রাখা হয়েছে। খোয়াই এবং কমলপুরে কর্মী সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর কটাক্ষ, মহাকরণ থেকে গ্রামপঞ্চায়েত পর্যন্ত কমিশন অর্থাৎ ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হয় না। কমিশনের সাথে বিজ্পির মুষ্টিমেয় কিছু লোক দায়ী রয়েছেন। বিজেপি সরকার মানেই কমিশনের সরকার। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, রাজ্যে গনতন্ত্রের পবিত্র ভূমি হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া, রাজ্যে হিংসার রাজনীতি বন্ধ করা হবে বলেও দাবি করেন তিনি। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে একটিও কাজের কাজ করেন নি তিনি।
এদিন তিনি আরো বলেন, আগামী এপ্রিল মাসে পার্টির সর্বভারতীয় সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হতে যাছে। আজ সিপিআইএমের ৬০ জনের কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। তারমধ্যে ১৪ জন নতুন সম্পাদক মণ্ডলী তৈরী হুয়েছে। তাছাড়া, আগামী সর্বভারতীয় সম্মেলনের জন্য ৪০ জন প্রতিনিধি এবং ২ জন অবজারভার নির্বাচিত হয়েছে বলে জানান তিনি।

