রাজ্যের যুবা সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে: মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ২৪ জানুয়ারি: রাজ্যের যুবা সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রায়ই বলেন যুবা সম্প্রদায় হচ্ছে দেশের অন্যতম সম্পদ। দেশের যুবা সম্প্রদায়ের যদি উন্নয়ন করা যায় তাহলে দেশ উন্নতির পথে দ্রুত এগিয়ে যাবে। এই লক্ষ্য নিয়েই প্রধানমন্ত্রী ২০১৬ সালে দেশব্যাপী স্টার্টআপ ইন্ডিয়া প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন। রাজ্য সরকারও প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে রাজ্যে স্টার্টআপ ইন্ডিয়া প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছে। আজ প্রজ্ঞাভবনে ত্রিপুরা স্টার্টআপ পলিসি, ২০২৪-এর সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যের উদ্যোগী যুবক যুবতীরা এই পলিসির মাধ্যমে আর্থিক সহ বিভিন্ন সহযোগিতা পাবেন। যুবা সম্প্রদায়ের উদ্যোগপতি হওয়ার স্বপ্নপূরণে ত্রিপুরা স্টার্টআপ পলিসি-২০২৪ সহায়ক ভূমিকা নেবে। এই পলিসির লক্ষ্য হচ্ছে যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। শুধু তাই নয় এই পলিসির মাধ্যমে যুবক-যুবতীরা জব ক্রিয়েটর হিসেবেও নিজেদের তৈরি করতে পারবেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরা স্টার্টআপ পলিসি, ২০২৪ এর তথ্য সম্বলিত প্রচার বাহনের ফ্ল্যাগঅফ করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায়।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা স্টার্টআপ ত্রিপুরা পোর্টালের সূচনা করেন। এছাড়াও ত্রিপুরা স্টার্টআপ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড থেকে মুখ্যমন্ত্রী আগস্ত্য এডুটেক স্টার্টআপের সিইও’র হাতে ৭৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন এবং আই-লগিট্রন টেকনোলজিস প্রাইভেট লিমিটেড এবং এক্স-লেয়ার টেকনোলজি প্রাইভেট লিমিটেডকে এলিজিবিলিটি সার্টিফিকেট তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে মুখ্যসচিব জে কে সিনহা বলেন, উদ্ভাবনী ক্ষেত্রে রাজ্যের যুবক যুবতীদের কৌতূহল লক্ষণীয়। ত্রিপুরায় স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তরুণ উদ্যোগীদের মধ্যে উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাজ্যে গত তিন বছরে ১২৭টি স্টার্টআপের রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। ত্রিপুরা স্টার্টআপ পলিসি বিভিন্ন উদ্ভাবনী ক্ষেত্রে উদ্যোগীদের জন্য সহায়ক হবে। উল্লেখ্য, এই পলিসিতে রাজ্যের বেকার যুবারা ২ লক্ষ টাকার প্রাথমিক পুঁজির সুবিধা, ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত মাসিক পরিচালন ব্যয় ভর্তুকি, মহিলা এবং দিব্যাঙ্গজনদের নেতৃত্বাধীন স্টার্টআপগুলির জন্য আরও কিছু সুবিধা দেওয়া হবে। প্রোটোটাইপ পর্যায়ে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সহায়তা, ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিপণন সহায়তা, জিএসটি ব্যয় মেটানো এবং ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পেটেন্ট ফাইলিং সাপোর্ট দেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন তথ্য প্রযুক্তি দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে ও অধিকর্তা জেয়া রোগুল গেশান বি, মেইটি স্টার্টআপ হাবের সিইও পান্নীরসেলভাম মদনগোপাল এবং তামিলনাড়ু টেকনোলজি হাবের সিইও বনিতা বেণুগোপাল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিপাহীজলা জেলার জেলাশাসক সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল ও অন্যান্য অতিথিগণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *