সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে নারী শিক্ষা অত্যন্ত প্রয়োজন: মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ জানুয়ারি:
সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে নারী শিক্ষা অত্যন্ত প্রয়োজন। নারীরা শিক্ষিত হলে সমাজ, রাজ্য ও দেশ এগিয়ে যাবে। রাজ্য সরকার শিক্ষা ক্ষেত্রের উন্নয়নে বহুমুখী প্রকল্প গ্রহণ করেছে। আজ শঙ্করাচার্য বিদ্যায়তন দ্বাদশ শ্রেণি বালিকা বিদ্যায়তনের হীরক জয়ন্তী উৎসবে প্রধান অতিথির ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৬৫ সালের ১৫ জানুয়ারি সংসার ত্যাগী সন্ন্যাসী প্রয়াত বিষ্ণুপুরীজী পরমহংসদেব মহারাজ এই বিদ্যায়তন প্রতিষ্ঠা করেন। আজ এই বিদ্যায়তনের ছাত্রছাত্রীরা শুধু রাজ্যে নয়, শিক্ষা, খেলাধুলা ও সংস্কৃতিতে দেশ ও বিদেশে সুনাম অর্জন করেছে। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার চায় শিক্ষা সর্বত্র পৌঁছে যাক। সে লক্ষ্যে শিক্ষা দপ্তর সুপার থার্টি, মুখ্যমন্ত্রী মেধা পুরস্কার, বন্দে ত্রিপুরা টিভি চ্যানেল, বৃত্তিমূলক শিক্ষা, স্মার্ট ক্লাস, নিপুণ ত্রিপুরা, মিশন মুকুল, প্রয়াস প্রকল্প, নবম শ্রেণির ছাত্রীদের বিনামূল্যে বাইসাইকেল প্রদান, বিনামূল্যে ওয়ার্কবুক সরবরাহ ইত্যাদি প্রকল্প চালু করেছে। গুণগত শিক্ষার সম্প্রসারণে রাজ্যে পিএম-শ্রী স্কুল চালু করা হয়েছে। ১২৫টি বিদ্যাজ্যোতি বিদ্যালয় চালু করা হয়েছে। রাজ্যে এনসিইআরটি পাঠ্যক্রম চালু করা হয়েছে। অভিন্ন প্রশ্নপত্র চালু করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সকল স্থানে গুণমান সম্পন্ন শিক্ষা পৌঁছে দিতে ২০২০ সালে দেশে নতুন শিক্ষানীতি প্রচলন করেন। তিনি বলেন, আমরা চাই ত্রিপুরার শিক্ষা ব্যবস্থা আরও ভালো হোক। এই বিদ্যায়তনের ছাত্রীরা আরও ভালো ফলাফল করুক।

অনুষ্ঠানে এছাড়া বক্তব্য রাখেন আগরতলা পুরনিগমের কর্পোরেটর সম্পা সরকার চৌধুরী, বিদ্যায়তন পরিচালন কমিটির সাধারণ সম্পাদক দুলাল সাহা ও সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের জেনারেল ম্যানেজার পপি শর্মা। উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী শ্যামল কুমার দেব, বিদ্যায়তনের উপদেষ্টা বিমল কান্তি রায় ও শঙ্করাচার্য বিদ্যায়তনের (প্রাথমিক বিভাগ) প্রধান শিক্ষক শম্ভু দেববর্মা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শঙ্করাচার্য বিদ্যায়তনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী সহ অতিথিগণ ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত ২০২৪-এর শঙ্করাচার্য বিদ্যায়তনের কৃতী ২ জন ছাত্রী অনন্যা দাস ও উর্মি বণিককে স্মারক উপহার তুলে দেন। তাছাড়াও অনুষ্ঠানে অতিথিগণ বিদ্যায়তনের ষষ্ঠ শ্রেণির ১ম, ২য় ও ৩য় স্থানাধিকারীকে এবং প্রাথমিক বিভাগের তৃতীয় শ্রেণির ১ম, ২য় ও ৩য় স্থানাধিকারী ছাত্রীকে বই ও শংসাপত্র তুলে দেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী সহ অতিথিগণ শঙ্করাচার্য ও বিদ্যায়তনের প্রতিষ্ঠাতা বিষ্ণুপুরীজী পরমহংসদেব মহারাজের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিদ্যায়তনের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি স্বপন কুমার দাস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *