আগরতলা, ১০ জানুয়ারি : লাম্পি স্কিন ডিজিজের প্রকোপে রাজ্যে তিন বছরে ১২৬টি গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরীর তারকা চিহ্নবিহীন প্রশ্নের লিখিত জবাবে প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন বিভাগের মন্ত্রী সুধাংশু দাস এই তথয় দিয়েছেন। তাঁর দাবি, ২০২২, ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডির)-এর কারণে গবাদি পশুর মৃত্যুর গড় সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ১২৬টি।
এদিন মন্ত্রী সুধাংশু জানিয়েছেন, রাজ্যে এলএসডির কারণে গরুর স্বাস্থ্যগত ক্ষতির উপর সরকারের পক্ষ থেকে কোন ব্যাপক গবেষণা পরিচালনা করা হয়নি। তবে তিনি এও বলেন, রোগাক্রান্ত গরুর দুধ উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে। এর কারণ ছিল, গরুর রোগের কোর্স কমপক্ষে ৭ থেকে ১০ দিন স্থায়ী হয়েছিল।
তিনি বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরীর প্রশ্নে সারা দিয়ে জানিয়েছেন, সরকার এলএসডির রোগের কারণে গবাদি পশু হারিয়েছেন এমন কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। এক্ষেত্রে মোট সুবিধাভোগীর সংখ্যা: ১৮৭ জন, এবং মোট ব্যয়ের পরিমাণ ১০,১২,০০০/- টাকা।
এসবের পাশাপাশি মন্ত্রী সুধাংশু জানিয়েছেন, রাজ্যে পরিত্যক্ত গরু ও অন্যান্য গবাদি পশু রক্ষনাবেক্ষনে মোট ৩ টি পশুশালা বা গোশালা রয়েছে। এই সকল পশুশালা সমূহ বাবা গোরকনাথ গোশালা এবং ধ্যান ফাউন্ডেশন নামক এন.জি.ও দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।
বর্তমানে ওই পশুশালা সমূহে গবাদি পশুর সংখ্যা উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেন , বিশালগড় স্থিত দেবীপুর গোশালায় ৮০০ টি, শান্তিরবাজার স্থিত মুহুরীপুর গোশালায় ৮৫০ টি এবং ধর্মনগর স্থিত বাবা গোরকনাথ গোশালায় ৫১ টি গবাদি পশু রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এই সকল পশুশালা পরিচালনায় রাজ্য সরকারের তহবিল থেকে ঔষধ, টীকাকরণ, চিকিৎসা ইত্যাদি দিয়ে সাহায্য প্রদান করা হয় এবং ২০২৪-২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কোন অর্থ বরাদ্দ করা হয়নি। আগামী দিনগুলিতে রাজ্যের সবগুলি জেলায় এই জাতীয় পশুশালা স্থাপন করার এবং আধুনিক সুবিধাদি সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।