গুয়াহাটি, ৮ জানুয়ারি (হি.স.) : ডিমা হাসাও জেলার অন্তর্গত উমরাংসোর তিনকিলো এলাকার কালাপানিতে অবৈধভাবে কয়লা খনন চালানোর নির্দেশ প্রদানকারী ‘রাজাঘর’ (শাসকদল)-এর বিরুদ্ধে উচ্চস্তরের তদন্ত দাবি করেছে অসম প্ৰদেশ কংগ্ৰেস কমিটি (এপিসিসি)। রাজাঘরের আশীৰ্বাদ না থাকলে এভাবে অবৈধ কয়লা খনন সম্ভব, সরেজমিনে দুৰ্ঘটনাস্থল পরিদৰ্শনে গিয়ে অসম প্ৰদেশ কংগ্ৰেস কমিটির কাৰ্যনির্বাহী সভাপতি জাকির হুসেইন শিকদার গুরুতর এই অভিযোগ করেছেন।
আজ বুধবার এক বিবৃতিতে প্রদেশ কংগ্ৰেসে নেতা জাকির হুসেইন শিকদার বলেন, সমগ্ৰ ঘটনা এতটাই মৰ্মস্পৰ্শী যে, রেটহোল সদৃশ কয়লা খাদানে আবদ্ধ শ্রমিকদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে অভিযানকারী সংস্থাগুলি। পেটের তাড়নায় জীবিকার সন্ধানে কয়লা খাদানে কর্মরত ওই সকল শ্ৰমিকদের কোনও সুরক্ষা ব্যবস্থা নেই, অসুরক্ষিত অবস্থায় তাঁদের কাজ করানো হচ্ছিল।
বিবৃতিতে জাকির হুসেইন শিকদার অভিযোগ করেছেন, অবৈধ এই কয়লা খাদানের সঙ্গে বিজেপি নেতা উত্তর কাছাড় স্বশাসিত পার্বত্য পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য (সিইএম) দেবোলাল গাৰ্লোসা এবং তাঁর পত্নী কণিকা হোজাইয়ের নাম জড়িত। অতএব, অবৈধ কারবার এবং শ্রমিকদের প্রাণহানীর সঙ্গে যারা জড়িত, সেই সকল দোষীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত কংগ্ৰেস শান্ত হবে না।
কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলের নেতা-সদস্যরা ঘটনাস্থলে আজ জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে দ্রত এবং তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধার প্ৰক্ৰিয়া করার দাবি করেছেন। পাশাপাশি দুর্ঘটনায় নিহত এবং আহতদের পরিবারবর্গকে ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা খাদানস্থলে অবস্থানরত রাজ্যের খনি-মন্ত্রী কৌশিক রাইয়ের সঙ্গেও এ ব্যাপারে কথা বলেছেন।
কংগ্ৰেসের প্ৰতিনিধি দলে ছিলেন উপ-সভাপতি নৃপেন তালুকদার, সেবাদলের অধ্যক্ষ দীপ বায়ন, বিধায়ক রশিদ মণ্ডল, সম্পাদক শান্তনু শৰ্মা এবং ডিমা হাসাও জেলা কংগ্ৰেসের সভাপতি।