নয়াদিল্লি, ৬ জানুয়ারি : সংবাদে প্রকাশ, কর্ণাটকে কয়েকটি হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) কর্ণাটকে এরকম দুটি ঘটনা চিহ্নিত করেছে। শ্বাসযন্ত্রে একাধিক ভাইরাল প্যাথোজেনের উপস্থিতি সম্পর্কে সাধারণ পরীক্ষার মাধ্যমেই দুটি ঘটনা চিহ্নিত করা হয়েছে। দেশজুড়ে শ্বাসযন্ত্রের অসুখের তদারকি করতে আইসিএমআর সক্রিয়।
ভারত সহ সারা বিশ্বেই এইচএমপিভি সংক্রমণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এবং এইচএমপিভি-সংশ্লিষ্ট শ্বাসযন্ত্রের অসুখের খবর পাওয়া গেছে বিভিন্ন দেশ থেকে। এছাড়াও, আইসিএমআর-এর সাম্প্রতিক তথ্য এবং ইন্টিগ্রেটেড ডিজিজ সার্ভেইল্যান্স প্রোগ্রাম (আইডিএসপি) নেটওয়ার্কের ভিত্তিতে দেখা গেছে দেশে ইনফ্লুয়েঞ্জা-লাইক ইলনেস (আইএলআই) অথবা সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইলনেস (এসএআরআই) জাতীয় অসুখের বাড়াবাড়ি নজরে আসেনি।
এইচএমপিভি-র যে দুটি সংক্রমণের ঘটনার খোঁজ পাওয়া গেছে তার বিস্তারিত বিবরণ নিম্নরূপ :
১) বেঙ্গালুরুর ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর একটি তিনমাস বয়সী শিশুকন্যার পরীক্ষায় শরীরে এইচএমপিভি পাওয়া গেছে। এর ব্রঙ্কোনিউমোনিয়ার পূর্ব ইতিহাস আছে। তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
২) বেঙ্গালুরুর ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালেই ভর্তি হওয়ার পর ২০২৫-এর ৩ জানুয়ারি একটি ৮ মাসের পুরুষ শিশুর এইচএমপিভি পজিটিভ বলে জানা যায়। তারও ব্রঙ্কোনিউমোনিয়ার পূর্ব ইতিহাস আছে। শিশুটি এখন সেরে উঠছে।
এটা মনে রাখা প্রয়োজন যে, এই দুই রোগীই কখনও বিদেশ ভ্রমণ করেনি।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সবরকম ব্যবস্থার মাধ্যমেই পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। আইসিএমআর সারা বছর এইচএমপিভি সংক্রমণের ধরনের ওপর নজর রাখবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যেই চিনের পরিস্থিতি সম্পর্কে সাম্প্রতিক তথ্য জানাচ্ছে যাতে চলতি ব্যবস্থা সম্পর্কে সকলকে অবগত করা যায়।
দেশজুড়ে সাম্প্রতিক প্রস্তুতির যে মহড়া চালানো হয়েছে তাতে দেখা গেছে, ভারতে শ্বাসযন্ত্রজনিত অসুখের বাড়াবাড়ির মোকাবিলা করার মতো সাজসরঞ্জাম ও ব্যবস্থা আছে। প্রয়োজনে দ্রুত জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।