ধর্মনগরে ই-রিকশা চালক ও যাত্রীর মধ্যে বিরোধে উত্তপ্ত পরিস্থিতি, পাল্টাপাল্টি মামলা ও বিতর্ক

ধর্মনগর, ৪ জানুয়ারি: ধর্মনগরের নোয়াপাড়া বিশাল মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় ই-রিকশা চালক ও যাত্রীর মধ্যে ভাড়া নিয়ে শুরু হওয়া বিবাদ ক্রমশ উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এই ঘটনার প্রভাব পড়েছে ধর্মনগর থানার দৈনন্দিন কার্যক্রমেও।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ ডিসেম্বর ই-রিকশা চালক জহর দেবনাথ ধর্মনগর দিগলবাক থেকে হুরুয়া গ্রামের বাসিন্দা রাজু মাহিষ্য দাসকে যাত্রী হিসেবে তুলে বি.বি.আই স্কুলের সামনে নিয়ে যাওয়ার পথে এই বিবাদ ঘটে। অভিযোগ অনুযায়ী, যাত্রী রাজু মাহিষ্য দাস রিকশায় ওঠার পর থেকেই গালিগালাজ করতে শুরু করেন এবং চালকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। বিশাল মার্কেটের কাছে পৌঁছানোর পর চালক জহর দেবনাথ যাত্রীকে নামতে বললে, যাত্রী আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন এবং চালককে মারধর করেন। এতে চালকের হাত ভেঙে যায় বলে জানা গেছে।

ঘটনার খবর পেয়ে ই-রিকশার ভারতীয় মজদুর সংঘের  উত্তর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক উমেশ নাথ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তিনি আহত চালককে দ্রুত ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন যে, যাত্রীর পরিবার প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ৩০০০ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল এবং সন্ধ্যায় আলোচনায় বসার কথা বলেছিল।

তবে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়, যখন যাত্রীর পরিবার উমেশ নাথ এবং আরেক বিএমএস কর্মীর বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা করে। উমেশ নাথ অভিযোগ করেন যে, এই মামলা ভিত্তিহীন এবং এটি বিএমএসের ভাবমূর্তি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র। তিনি আরও জানান, যাত্রী রাজু মাহিষ্য দাসকে বিএমএস কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মাঝ রাস্তা থেকে পালিয়ে যান।

এদিকে, অল ইন্ডিয়া ভারতীয় ট্রান্সপোর্ট মহা সংঘের সভাপতি অসীম দত্তের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন উমেশ নাথ। তিনি অভিযোগ করেন যে, অসীম দত্ত সিপিএম ও কংগ্রেস সমর্থিত ব্যক্তিদের সঙ্গে মিলে বিএমএসের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। তিনি আহত চালকের বাড়িতে না গিয়ে যাত্রীর বাড়িতে যাওয়ার বিষয়টিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেন।

এই ঘটনার পর থেকে ধর্মনগর থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের হওয়ায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পুলিশের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে তদন্ত চলছে। অন্যদিকে অপহরণ হওয়া প্যাসেঞ্জার তার বাড়িতেই তাকে পাওয়া গেল এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত মুখ খোলেনি ধর্মনগর থানার পুলিশ কি কারণে বা কারা অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল তাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *