বৈদ্যনাথ ভট্টাচার্য
আগরতলা, ৩ জানুয়ারি: কঙ্কালসার অবস্থা রাস্তার। কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতার কারণে কঙ্কালসার রাস্তা দিয়ে নিত্য দুর্ভোগ ও দুর্দশার মধ্যেই মানুষকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। খানাখন্দে ভরা রাস্তার অবস্থা এতটাই বিপজ্জনক হয়েছে যে নিত্য ঘটে চলেছে দুর্ঘটনা।
কুম্ভনিদ্রায় আচ্ছন্ন কর্তৃপক্ষ। কুমারঘাট পূর্ত দপ্তরের নাকের ডগায় অর্থাৎ ঢিলছোঁড়া দূরত্বে অবস্থিত রাস্তার ওই দৈন্যদশার কারনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সরকারের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। প্রত্যন্ত কোনও দুর্গম গ্রাম নয়। খোদ কুমারঘাট পূর্ত দপ্তরের অফিস থেকে দেও মনু নদীর সংযোগস্থল হালাইমোড়া যাবার রাস্তার এই বেহাল এবং শোচনীয় অবস্থা। এই রাস্তার উপরে অসংখ্য ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়ে রয়েছে।গত বর্ষার সময়ে বৃষ্টির জল পড়ে গর্তগুলি বড় আকার ধারণ করে রয়েছে। বৃষ্টি হলেই রাস্তায় সৃষ্টি হওয়া গর্তে জল জমে থাকছে। আর রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল করার সময় সেই নোংরা জল ছিটকে পড়ছে পথচারীদের শরীরে।এই রাস্তা ধরে প্রতি দিন এলাকার বহু লোকজন যাতায়াত করছে। কিন্তু বেহাল রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নেই।
রাস্তার বেহাল দশার কারণে মানুষকে দুর্ভোগ ও দুর্দশার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, অবৈ জ্ঞানি কভাবে রাস্তার দুই পাশে যত্রযত্র মাটি ভরাট করে বাড়িঘর নির্মাণের জেরে রাস্তায় আটকে পড়ছে জল। জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকার কারণে শীতের মৌসুমেও রাস্তায় জল জমে থাক ছে। অভিযোগ, যত্রতত্র জমি ভরাট করে বাড়ি ঘর নির্মাণের জেরেই বৃষ্টি হলে রাস্তার জল জমে যাচ্ছে। এক সময় হালাই মোরাতে কৃষি জমি ছিল। কৃষিজমি ভরাট করে প্রচুর বাড়িঘর নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমান সময়েও চলছে আরও বেশ কিছু বাড়িঘর নির্মাণের কাজ। আর বাড়ি ঘর নির্মাণের কারণে জল যাওয়ার মতো রাস্তা যা ছিল তা বন্ধ হয়ে গেছে, যে কারণে জল জমে রয়েছে রাস্তায়।এতে মানুষকে নানা দুর্ভোগের শিকারও হতে হচ্ছে। বর্তমানে এই সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। হেরিটেজ অর্গানাইজেশন নামে একটি সামাজিক সংস্থা হালাই মোরা দেও মনু নদীর সংযোগস্থলকে হেরিটেজ তীর্থক্ষেত্রে পরিণত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই সংস্থার কর্ণধার সুদর্শন বৈদ্য জানিয়েছেন দুই নদীর সংযোগ স্থলে গঙ্গা মাতার পাথরের প্রতিমা বসানোর কাজ চলছে।