তেলিয়ামুড়া, ২৮ ডিসেম্বর : তেলিয়ামুড়া এলাকা জুড়ে বেশ কিছু যুবতী ও গৃহবধূর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ওই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে তেলিয়ামুড়ার বিভিন্ন এলাকায়। সচেতন জনতার হাতে আটক এক অভিযুক্ত। কিন্তু এই ব্ল্যাকমেলিং এর ঘটনায় তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশের ভূমিকায় জনমনে চরম ক্ষোভ পরিলক্ষিত হচ্ছে।
একাধিক সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, বিগত কিছুদিন যাবত তেলিয়ামুড়া এলাকা জুড়ে বেশ কিছু যুবতী ও গৃহবধূর আপত্তিকর ছবি বা ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে। এ নিয়ে তেলিয়ামুড়া থানা এলাকায় উদ্বেগ ছড়ালেও তেলিয়ামুড়া থানা পুলিশ কিছু করতে পারে নি।
প্রসঙ্গত, তেলিয়ামুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র অম্পি চৌমুহনীতে স্টুডিও সুপ্রিম নামের কম্পিউটারের দোকান রয়েছে। সেখানে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে আমজনতা, অনেকেই ছবি তোলা সহ নানা প্রকার কম্পিউটারের কাজের জন্য আসে। এলাকাবাসীর অভিযোগ এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দোকানের কর্মচারী নির্মল সূত্রধর ও.টি.জি-র মাধ্যমে গ্রাহকদের মোবাইল ফোন থেকে বিভিন্ন ব্যাক্তিগত এবং আপত্তিকর ছবি সংরক্ষণ করে পরবর্তীতে সেই ছবি এবং ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে, এলাকার জনৈক পীড়িতার পরিবার ছবি ভাইরালের ঘটনা জানতে পেরে তৎক্ষণাৎ তেলিয়ামুড়া থানার দারস্ত হন। কিন্তু তেলিয়ামুড়া থানা ওসি দায়সারা ভাবে তদন্ত শুরু করেন। থানায় অভিযোগ করার চার থেকে পাঁচ দিন গড়িয়ে গেলেও পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে নি।
শেষ পর্যন্ত শনিবার ওই পীড়িতার পরিবার ও এলাকার একাংশ সুবুদ্ধি সম্পন্ন সচেতন যুবকেরা নিজেদের ব্যাক্তিগত প্রচেষ্টায় জানতে পারে গোটা ঘটনার মূল মাস্টারমাইন্ড স্টুডিও সুপ্রিমের কর্মচারী নির্মল সূত্রধর।
অপরাধীকে হাতে নাতে ধরতে এলাকাবাসী একজন কম্পিউটার এক্সপার্ট নিয়ে ওই দোকানে হানা দেয়। স্টুডিও সুপ্রিমের কর্মচারী নির্মল সূত্রধরের কম্পিউটারে তল্লাশি চালিয়ে বহু আপত্তিকর ছবি উদ্ধার করা হয়। এলাকাবাসী তাকে উত্তম মধ্যম দিলে সে এই বিষয়টি স্বীকার করে। তারপর থানায় খবর দেওয়া হয়। তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত নির্মল সূত্রধর’কে তেলিয়ামুড়া থানায় নিয়ে যায়। এদিকে, তেলিয়ামুড়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জনমনে নানা ধরনের প্রশ্ন উঠছে।