ধর্মনগর, ২১ ডিসেম্বর : প্রতিবছরের ন্যায় এবছরেও ধর্মনগর বিদ্যালয় পরিদর্শকের কার্যালয়ে ভোজন মাতাদের রান্নার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিযোগিতায় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ে পরিদর্শক রঞ্জু শর্মা। মিড ডে মিলের মানোন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের খাবারের গুণগতমান নিশ্চিত করাই হল এর মূল লক্ষ্য।
প্রসঙ্গত, ভোজন মাতাদের রান্নার প্রতিযোগিতা একাধিক দফায় সম্পন্ন হয়েছে। এর কারণ বিদ্যালয় পরিদর্শকের কার্যালয়ের অধীনস্থ সাতটি সিআরসি (ক্লাস্টার রিসোর্স সেন্টার)-র অন্তর্গত ৬২টি বিদ্যালয় রয়েছে। এই বিদ্যালয়গুলো থেকে বাছাই করা ভোজন মাতারা প্রথমে সিআরসি পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। এতে নির্বাচিত প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানাধিকারীরা ব্লকভিত্তিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন।
এদিকে, আজকের প্রতিযোগিতায় কালাছড়া ব্লকের পাঁচটি সিআরসি থেকে ১৫ জন ভোজন মাতা এবং মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলের দুটি সিআরসি থেকে ৬ জন ভোজন মাতা মিলিয়ে মোট ২১ জন প্রতিযোগী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ধর্মনগর বিদ্যালয় পরিদর্শকের কার্যালয়ের হলঘরটিটে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, এই প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য ছিল ভোজন মাতাদের দক্ষতা যাচাই করা এবং মিড ডে মিলের খাবার শিক্ষার্থীদের জন্য আরও মানসম্পন্ন ও সুস্বাদু করা। ব্লক স্তরে আজকের প্রতিযোগিতায় তিন বিজয়ী জেলা ভিত্তিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন এবং সেখানে যারা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান পাবেন তারা রাজ্য পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় যাওয়ার সুযোগ পাবেন বলেও জানান তারা।।
তাঁরা আরো জানায়, বিদ্যালয় পরিদর্শকের কার্যালয় প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া প্রতিটি ভোজন মাতার যাতায়াত খরচ বহন করছে। পাশাপাশি প্রতিযোগী সকলকেই সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ভোজন মাতাগণ উৎসাহিত হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন বিদ্যালয় পরিদর্শকের কার্যালয় কর্তপক্ষ।
বিদ্যালয় পরিদর্শকের কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক রঞ্জু শর্মা জানিয়েছেন, ধর্মনগরের এই প্রতিযোগিতা ভোজন মাতাদের জন্য শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং তাদের রান্নার দক্ষতা প্রদর্শনের এক বিশেষ সুযোগ। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ভোজন মাতাদের মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই বিষয়টি শিক্ষার্থীদের পুষ্টিকর ও সুস্বাদু খাবার সরবরাহের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন তিনি।