নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ ডিসেম্বর:
বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আজ সন্ধ্যায় লিচুবাগানস্থিত এলবার্ট এক্কা পার্কে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শহীদ বীর জওয়ানদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের যে সকল বীর সৈনিক তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন তাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, ১৬ ডিসেম্বর ভারতের সৈনিকদের জন্য এক গৌরবময় দিন। দিনটি ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৭১ সালের এদিন বিশ্বের মানচিত্রে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ নামক দেশটি যুক্ত হয়েছে। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সৈনিকদের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। এই দিনটিকে ভারতীয় সেনাবাহিনী বিজয় দিবস হিসাবে পালন করে থাকে। এই মুক্তিযুদ্ধে যে সকল শহীদ ভারতীয় বীর জওয়ানরা প্রাণ বলিদান দিয়েছেন তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। পর্যটন মন্ত্রী বলেন দেশ রক্ষায় ভারতের সৈনিকদের সাহসীকতা ও দৃঢ়তা অতুলনীয়। আগামীদিনে ভারতের উন্নতি ও প্রগতির ক্ষেত্রে ভারতীয় সৈনিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ভারতীয় সেনাবাহিনীর আগরতলা মিলিটারি স্টেশনের স্টেশন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার বিনেশ কুমার পান্ডা বলেন, ১৬ ডিসেম্বর সারা দেশে বিজয় দিবস পালন করা হয়। ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে ভারতীয় সেনা এক সাইকেল র্যালির আয়োজন করেছে। এই সাইকেল র্যালিটি ২ ডিসেম্বর ডিমাপুর থেকে যাত্রা শুরু করে এবং আজ আগরতলায় এসে পৌঁছায়। ১৯৭১ সালের বীর যোদ্ধাদের আত্মবলিদানের বীরগাঁথাকে সাধারণ জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এই সাইকেল র্যালির আয়োজন করা হয়। এছাড়াও বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রাজ্যের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বসে আঁকো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ৫৭ মাউন্টেন ডিভিশনের মেজর জেনারেল এস এস কার্তিকেয়ান। অনুষ্ঠানে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সাইকেল র্যালীর যাত্রার একটি তথ্য চিত্র প্রদর্শিত হয়। তাছাড়াও আসাম রাইফেলের ৩৫ নং ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানরা পাইপ ব্যান্ড প্রদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে কয়েকজন এক্স সার্ভিসম্যান ও তাদের পরিবারকে সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়। তাছাড়াও বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত বসে আঁকো প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বিভাগে প্রথম স্থানাধিকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। পর্যটন মন্ত্রী তাদের পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠানে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তাছাড়া সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে নৃত্য প্রদর্শন হয়।

