বিচারে গতি আনার চেষ্টায় উদ্যোগী সুপ্রিম কোর্ট, ছয় রাজ্য ও হাই কোর্টের বক্তব্য জানতে চিঠি

নয়াদিল্লি, ৯ ডিসেম্বর (হি.স.): বিভিন্ন আদালতে বকেয়া মামলার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মামলাকারীরা। বিচারাধীন অবস্থায় কাটাতে হচ্ছে অজস্র বন্দীকে। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছেন অনেকে। এই অবস্থায় সমাধানসূত্র খুঁজতে উদ্যোগী হল শীর্ষ আদালত।

ফৌজদারি মামলায় স্থগিতাদেশের কি বিচারকে শ্লথ করে দেয়? বিষয়টি বিবেচনা করে দেখতে একটি স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছে শীর্ষ আদালত। সোমবার ওই মামলার প্রথম শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চে। প্রথম শুনানিতেই পশ্চিমবঙ্গ-সহ ছয় রাজ্য এবং সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের হাই কোর্টের বক্তব্য জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত। তালিকায় বাংলা ছাড়াও রয়েছে মহারাষ্ট্র, প়ঞ্জাব, ছত্তীসগঢ়, রাজস্থান এবং ঝাড়খণ্ড।

সোমবারের শুনানিতে মূলত দু’টি বিষয়ের কথা তুলে ধরে প্রধান বিচারপতি খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ। প্রথমত, ফৌজদারি মামলায় স্থগিতাদেশের জন্য বিচারে বিরূপ প্রভাবের সম্ভাবনা। দ্বিতীয়ত, বিচার শুরু হতে দেরি হওয়ার সম্ভাবনা। এই বিষয়গুলি নিয়ে আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট রাজ্য এবং হাই কোর্টগুলির থেকে বক্তব্য জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।

ফৌজদারি মামলায় এমন অনেক ক্ষেত্রে বিচার শুরু হতে দেরি হওয়ার কারণে রায় দিতেও দেরি হচ্ছে। এই বিষয়টি নিয়ে ভাবছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।

সুপ্রিম কোর্টের এই স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপের বিষয়ে আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁর ব্যাখ্যা, “বিভিন্ন অপরাধমূলক মামলায় অভিযুক্ত হাই কোর্ট থেকে স্থগিতাদেশ আদায় করে নেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ওই মামলা আর শুনানির জন্য ওঠে না। ফলে এমন প্রচুর মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় ট্রায়াল শুরু করতে পারে না নিম্ন আদালত। ফলে বিচার পেতে দেরি হয়।” সুপ্রিম কোর্টের এই স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপের ফলে বিচারে গতি আসবে বলে মনে করছেন আইনজীবী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *