আগরতলা, ৯ নভেম্বর: জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও রোগ প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার একসাথে কাজ করছে। রাজ্য সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে রাজ্যের অন্তিম জনপদের মানুষের কাছে উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া। আজ আগরতলা সরকারি মেডিকেল কলেজের কে এল এস অডিটোরিয়ামে অ্যাসোসিয়েশন অব সার্জন অব ইন্ডিয়ার ত্রিপুরা স্টেট চ্যাপ্টারের দু’দিনব্যাপী ১৮-তম বার্ষিক রাজ্য সম্মেলনের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন।
সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা ও পরিকাঠামো উন্নয়নে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সমূহ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, রাজ্যের চিকিৎসকগণ মেধা ও দায়বদ্ধতায় কোন অংশেই কম নন। এই দুইয়ের সমন্বয়ের ফলেই বহিরাজ্যে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার সংখ্যা এখন হ্রাস পেয়েছে। ত্রিপুরায় নতুন নতুন স্পেশালিস্ট পরিষেবা চালু হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সহ অন্যান্য চিকিৎসকদের নিয়োগ করা হচ্ছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে রাজ্যে বিনিয়োগের জন্য এখন বহিরাজ্যের প্রায় ৮টি বড় বড় সংস্থা এগিয়ে আসছে।
সম্মেলনের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যে স্থিতিশীল সরকার এবং আইন শৃঙ্খলা ভাল থাকার কারণেই বিনিয়োগের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। রাজ্যে সফলভাবে কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে। আগামীদিনে লিভার প্রতিস্থাপনের বিষয়েও চিন্তাভাবনা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সমস্ত ধরণের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীদের নিয়েই রাজ্য সরকার পরিষেবা ও পরিকাঠামোর উন্নয়ন করতে চায়। সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী আয়ুষ্মান ভারত-প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা এবং মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার সাফল্যের বিষয়গুলিও তুলে ধরেন। মুখ্যমন্ত্রী অ্যাসোসিয়েশন অব সার্জন অব ইন্ডিয়ার ত্রিপুরা চ্যাপ্টারের কাজকর্মের ভূয়সী প্রশংসা করেন ও আগামীদিনে জনকল্যাণে এই ধরণের উদ্যোগ জারি রাখার আহ্বান জানান।
সম্মেলন উপলক্ষে একটি স্মরণিকারও উন্মোচন করেন মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য অতিথিগণ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব কিরণ গিত্যে, স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. সঞ্জীব দেববর্মা, এজিএমসি’র অধ্যক্ষ ডা. অনুপ কুমার সাহা প্রমুখ। সম্মেলনে প্রবীন চিকিৎসক ডা. অমরেন্দ্র দেববর্মাকে সংবর্ধনা জানানো হয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অ্যাসোসিয়েশনের সম্মেলন আয়োজন কমিটির সভাপতি ডা. দামোদর চ্যাটার্জি এবং সভাপতি ডা. সুনীল কুমার ঘোষ। বহিরাজ্যের বিশিষ্ট শল্য চিকিৎসক ডা. জি সিদ্ধেশ্বর সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।