কলকাতা, ১৭ সেপ্টেম্বর (হি.স.): বন্যার ভ্রুকুটি এ রাজ্যের একাধিক জেলায়। এ নিয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং বর্তমান পরিস্থিতির মোকাবিলায় সচেষ্ট রাজ্য প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিস্তারিত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে একটানা বর্ষণ। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় নতুন করে বিপত্তি। জলাধার থেকে জল ছাড়া হয়েছে। এর ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে।বাঁকুড়া, বীরভূম, দক্ষিণ ও উত্তর চব্বিশ পরগণা, হুগলি, হাওড়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলা ক্ষতিগ্রস্ত। কন্ট্রোল রুম চব্বিশ ঘণ্টা খোলা রয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে। ইতিমধ্যেই ৪৬ হাজার ত্রিপল বিতরণ করা হয়েছে। অতিরিক্ত দেড় লাখ বিলি করার জন্য মঞ্জুরী দেওয়া হয়েছে। ১৮০ টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। এর মধ্যে হুগলিতে সর্বাধিক – ৫১টি, পশ্চিম মেদিনীপুর -৩৩টি, বাঁকুড়া – ২৯টি, বীরভূমে – ১২ টি ও ঝাড়গ্রামে – ৫টি। এ পর্যন্ত ৭,৯৫২ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ১৭ টি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী কাজ করছে। দুজনের মৃত্যু সংবাদ পাওয়া গেছে। পূর্ব বর্ধমানে – একজন দেওয়াল চাপা পড়ে এবং হুগলিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজন। উল্লেখ্য, ১লাখ ৩৩ হাজার ৭৫০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। কংসাবতী জলাধার থেকে ৪০ হাজার ও পাঞ্চেৎ জলাধার থেকে ৫০ হাজার কিউসেক পরিমাণ জল ছাড়া হয়েছে। মাইথন জলাধার থেকে ও ২ লাখ কিউসেক পরিমাণ জল ছাড়ার জন্য কেন্দ্রীয় জল কমিশন পরামর্শ দিয়েছে।
2024-09-17