আসন্ন দূর্গোৎসবকে সামনে রেখে নিগমের বৈঠক

আগরতলা, ২৯ আগস্ট: বিজয়া দশমীর পরের দিন প্যান্ডল ভেঙে দিতে হবে। অন্যথায় পুর নিগম কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই তা ভেঙে দিতে বাধ্য হবে। আজ সাংবাদিক সম্মেলনে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন মেয়র দীপক মজুমদারের।

আসন্ন দূর্গোৎসবকে সামনে রেখে পুর নিগমের কনফারেন্স হলে এক বৈঠকের আয়েজন করা হয়েছে। আজকের এই বৈঠকে অনেকগুলি  সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার। 

এদিন মেয়র দীপক মজুমদার বলেন, আসন্ন দূর্গা পূজোর সময় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দশনার্থীরা আসবেন পূজোর আনন্দ উপভোগ করতে। পূজোর আনন্দ উপভোগ করতে আগত দশর্নাথীরা যেন নির্বিঘ্নে পুজো দেখতে পারে সে ব্যাপারে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

এদিন তিনি বলেন, গত বছর সব মিলিয়ে ৪টি জোনে ৩৭০টি ক্লাব এবং অন্যান্য সামাজিক সংস্থাকে পূজার অনুমতি প্রদান করা হয়। এই বছর ও বিভিন্ন ক্লাব এবং সামাজিক সংস্থাকে পূজার অনুমোদন দেওয়ার পরিকল্পনা রাখা হয়েছে।তাঁর কথায়, সার্বজনীন দুর্গাপুজা প্যান্ডেল নির্মানে অনুমতি সংগ্রহে বিভিন্ন সামাজিক সংস্থা ও ক্লাবগুলিকে শর্ত পালন করতে হবে। সেগুলো হল, প্যান্ডেল নির্মানে জন সাধারনের চলাচলে কোন প্রকার সমস্যা সৃষ্টি করা যাবে না। কোন অবস্থাতেই পীচ রাস্তায় কোন প্যান্ডেল বা গেইট করা যাবে না।

পূজা উদ্যোক্তাদের অগ্নি নির্বাপক দপ্তর, বিদ্যুৎ নিগম, পিডাব্লিউডি  এবং ট্রাফিক দপ্তরের নিকট থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিতে হবে। প্যান্ডেল নির্মানের সময় কোনো প্রকার সরকারী সম্পদের ক্ষতি সাধন করলে তার ক্ষতিপূরন সংশ্লিষ্ট পূজা উদ্যোক্তাদের দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, যদি প্যান্ডেলের উচ্ছতা ২০ ফুট এর অধিক হয় তাহলে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট থেকে অনুমোদন নিতে হবে। বিদ্যুৎ পরিবাহী লাইন থেকে সরাসরি ৮ফুট দূরত্বে প্যান্ডেল নির্মান করতে হবে। অ-স্বীকৃত ভ্যান্ডারদের কোনো ও অবস্থাতেই স্টল খোলার অনুমোদন প্রদান করা হবে না। পুর নিগম এলাকায় কোনও স্টল খোলার প্রয়োজন হলে পুর নিগম কর্তৃপক্ষ এর তদন্ত করবে এবং স্টল খোলার পরিপেক্ষিতে যদি পথ চলতি মানুষ, যানবাহন ইত্যাদি চলাচল এর অসুবিধা হয় সেক্ষেত্রে কোন ও প্রকার অনুমতি প্রদান করা হইবেনা। পূজা স্থান ও তার আশপাশ এলাকা প্রতিদিন পরি ব পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ট্রাফিকের সমস্যা হতে পারে এমনভাবে ফ্লাডলাইট লাগানো যাবেনা।

পাশাপাশি, রোড ক্রসিং ও ওভার হেড গেইট নির্মানের ক্ষেত্রে ট্রাফিক, পূর্ত দপ্তর এবং অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের মঞ্জুরি সহ পুর নিগমের আগাম অনুমতি নিতে হবে। প্যান্ডেল সঠিক ভাবে নির্মিত হয়েছে কিনা সেই বিষয়ে ডিগ্রিপাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারের কাজ থেকে সংগ্রহিত শংশাপত্র আবেদন পত্রের সঙ্গে দিতে হবে। শহর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ও রক্তদান সংক্রান্ত শ্লোগান ইত্যাদি সম্বলিত ফেস্টুন পূজা প্রাঙ্গনে লাগানো যেতে পারে।

তাছাড়া, বিজয়া দশমীর পরের দিন প্যান্ডেল ভেঙ্গে দিতে হবে অন্যথায় পুর নিগম কোনো প্রকার নোটিশ ছাড়াই তা ভেঙ্গে দিতে পারে। এর জন্য যে অর্থ ব্যায় হবে তা সংশ্লিষ্ট পুজা উদ্যোক্তাদের বহন করতে হবে। পুর নিগমের অনুমতি ছাড়া কোনো ধরনের পূজা প্যান্ডেলের কাজ আরম্ভ করা যাবেনা। সকল পূজা প্যান্ডেলের দূর্যোগ মোকাবিলার সবধরনের প্রয়োজনীয় বন্দোবস্ত থাকতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *