BRAKING NEWS

বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতিা অবনতি, আখাউড়া-আগরতলা সড়ক যোগাযোগ বন্ধ

ঢাকা থেকে মনির হোসেন।। বাংলাদেশে সাত নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় দেশের বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি অবনতির ফলে জলের তোড়ে সেতু ভেঙে আখাউড়া-আগরতলা সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া বানভাসি মানুষগুলো বাঁচার জন্য আকুতি করছে। তাদের উদ্ধারে বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যেই দেশের সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যদের মোতায়েন করেছেন।

জানা গেছে,বাংলাদেশে সাত নদীর ৯ পয়েন্টে জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এতে দেশের পাঁচ জেলা অর্থাৎ মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ,  ফেনী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। ভারী বৃষ্টির কারণে আরও কিছু নদীর জল বিপদসীমার ওপরে উঠে যেতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। ফলে আরও বেশ কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতির পাশাপাশি নতুন কিছু এলাকা বন্যা কবলিত হয়ে পড়তে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। 

সাত নদীর ৯ পয়েন্টের মধ্যে হবিগঞ্জের খোয়াই নদীর বান্না পয়েন্টে জল বিপদসীমার সর্বোচ্চ ১৯৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। এরপর একই নদীর হবিগঞ্জ পয়েন্টে ১৯০ সেন্টিমিটার,  হালদা নদীর নারায়ণহাট পয়েন্টে ১০০, মনু নদীর মনু রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্টে ৯৫, একই নদীর মৌলভীবাজার পয়েন্টে ৬৫, মুহুরি নদীর পরশুরাম পয়েন্টে ৭০, ধলাই নদীর কমলগঞ্জ পয়েন্টে ৪৬ এবং ফেনী নদীর রামগড় পয়েন্টে জল বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের জলর মোট ১১৬টি স্টেশনের মধ্যে ৬২টি স্টেশনে পানি বেড়েছে। বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পাহাড়ি ঢলের জলের তোড়ে ভেঙে গেছে সেতু। বুধবার সকালে উপজেলার গাজীর বাজারের জাজিরপুর এলাকার এই সেতুটি ভেঙে যায়। এতে আখাউড়া-আগরতলা সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। 

এদিকে,ভারী বৃষ্টি ও  উজানের জলে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে ফেনীর পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলা। মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের সবগুলো ভাঙনের স্থান দিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করে ডুবছে একের পর এক জনপদ। এতে বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। ভয়াবহ এই বন্যায় বানভাসি মানুষদের উদ্ধারে বুধবার থেকে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যাকবলিত এলাকায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করতে সেনাবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সহযোগিতা চাওয়া হয়। এরপর স্পিডবোট নিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে তারা। একইসঙ্গে বিজিবি সদস্য ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক পরিবারের শত শত স্বেচ্ছাসেবক উদ্ধার ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করছেন। 

অপরদিকে, আইএসপিআরের পক্ষ থেকে বার্তা দিয়ে জানানো হয়, ফেনী জেলার পরশুরাম ও ফুলগাজীতে বন্যার্তদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। উদ্ধার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে স্পিড বোট ও হেলিকপ্টার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *