নিজস্ব প্রতিনিধি, আমবাসা, ২৬ জুলাই:
সরকারিভাবে সামাজিক ভাতা চালু থাকলেও জুমিয়া পরিবারের অনেকেই বৃদ্ধ বয়সেও সামাজিক ভাতার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। তাতে চরম দুঃখ দুর্দশার মধ্য দিয়ে বৃদ্ধ বয়স ও জুম চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করতে বাধ্য হচ্ছেন পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারী বহু পরিবার। বার্ধক্য ভাতার আর্জি জানিয়ে সরকারের কাছে আবেদন রাখলেন জুমিয়া পরিবার।
মুঙ্গিয়াকামী ব্লকের অধীন আঠারোমুড়া এডিসি ভিলেজের অন্তর্ভুক্ত ৪৭ মেইল এলাকার বাসিন্দারা বেশিরভাগই মূলত জুম চাষের উপর নির্ভর করে চলে। এর পাশাপাশি সরকারি ভাবে আর্থিক সহযোগিতা পেলে পরিবার প্রতিপালনে সুবিধা হয়। স্বভাবতই সরকারের কাছ থেকে সহযোগিতার আশায় থাকেন উনারা।
বয়স ৬৫ পেরিয়ে ৭০ হতে চলেছে পরিবারে চার জন সদস্য, এর উপর স্বামী শারীরিক পরিশ্রমে অক্ষম। ফলে এই বয়সে পরিবার চালাতে স্ত্রী সামান্য কিছু জুম চাষ দিয়ে সংসারের ঘানি টানতে হিমশিম খাচ্ছে। আলাপ চারিতায় পরিবারটি জানায় পাহাড়ের সংগৃহিত সামান্য কিছু সব্জি বিক্রি করছেন। কিন্তু তাতেও হচ্ছেনা। চিরাচরিত পোশাক পাছরা তৈরী করে আরও কিছু করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু অন্যান্য কাজ করে একটা পাছরা তৈরী করতে বেশ কয়েকদিন সময় লেগে যায়। তাছাড়া বর্তমান বাজারে সুতার দাম বেড়ে যাওয়ায় একটা পাছরা বাজারে বিক্রি করে বেশী লাভ হয় না। এমতাবস্থায় সরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে দুঃখ কষ্ট অনেকটা লাঘব হয় বলেও জানান জুমিয়া বৃদ্ধা।